ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর এবার বন্দরনগরী খুলনায় পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ করছে হোটেল ব্যবসায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রেডিসন গ্রুপ। এছাড়াও পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও প্রতিষ্ঠানটির একটি পাঁচতারকা হোটেলের নির্মাণ কাজ চলছে।
বিশ্বের ১১৫টি দেশে হোটেল ব্যবসা চালানো প্রতিষ্ঠানটির নতুন ফ্রাঞ্চাইজিটি হবে খুলনার শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে দুই একর জায়গার ওপর। রেডিসন হোটেল গ্রুপ ও বাংলাদেশের গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি লিমিটেডের হোটেল ম্যানেজমেন্টের আওতায় এটি পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ গ্রান্ড হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. গাজী মিজানুর রহমান খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে রেডিসন হোটেল গ্রুপের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেডিসন হোটেল গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ারম্যান ইমেরিটাস ও মুখ্য উপদেষ্টা কেবি কাচরু, গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. গাজী মিজানুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী সেজান তানভীর।
পাঁচতারকা এই হোটেলটিতে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে হোটেলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। হোটেলটিতে থাকবে অত্যাধুনিক মানের ১৫০টি কক্ষ এবং স্যুইট, একাধিক খাবার ও পানীয় আউটলেট, বিশেষায়িত রেস্তোরাঁ, কফি শপ, সভা-সেমিনার করার অত্যাধুনিক হল রুমসহ একটি সুইমিং পুল।
এছাড়াও থাকছে ৯ হাজার ১০০ বর্গফুটের সুবিশাল কনভেনশনসিটি। যেখানে থাকবে বিয়ে, সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগত প্রায় এক হাজার অতিথির জন্য খাবার পরিবেশন করার ব্যবস্থা। এ ছাড়া হোটেলটিতে ব্যবসা সংক্রান্ত মিটিংয়ের জন্য দু’টি কক্ষ থাকবে, যাতে ৫০ জন অতিথি বসে মিটিং করতে পারবেন। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে থাকছে একটি স্পা, স্টিম রুম, সেলুন, রিভার সাইড সুইমিংপুল, একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ, ইনফিনিটি সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার ও দু’টি বিপণিকেন্দ্র।
চুক্তিস্বাক্ষরের পর রেডিসন হোটেল গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ারম্যান ইমেরিটাস ও মুখ্য উপদেষ্টা কেবি কাচরু বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় পর্যটন নগরী খুলনায় আমাদের চতুর্থ প্রপার্টির কাজ শুরুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমরা অত্যন্ত খুশি। এটি হবে আমাদের ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি, কেননা আমরা খুলনায় করপোরেট অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের উন্নত পাঁচতারকা হোটেল স্থাপন করতে যাচ্ছি।’
দ্য গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী সেজান তানভীর বলেছেন, ‘খুলনা অদূর ভবিষ্যতে একটি বৃহৎ বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, খানজাহান আলী বিমানবন্দর, মংলা বন্দরের সাথে দক্ষিণ বঙ্গ ও রাজধানী ঢাকার সংযোগ রেল সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে এবং মংলা বন্দরের ইপিজেডকে কেন্দ্র করে খুলনা শহরের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তা ছাড়া সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবস্থাপনাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য এই হোটেলটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’