ফিরে আসাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত বেইজিংয়ের

চীনে ভয়াবহ নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমণে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন দেড় হাজারেরও বেশি। বিশ্বের ২৪টারও বেশি দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহান থেকে ফিরিয়ে আনাদের কোয়ারেন্টিনে রেখেছিল বাংলাদেশ। এবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়েও এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে ফিরে আসাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখবে দেশটি। আর এই নিয়মের বাইরে গেলে শাস্তির কথাও বলা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছুটি শেষ করে রাজধানীতে পৌঁছানোর পর চীনের বাসিন্দাদের ‘নিজের উদ্যোগে অথবা নির্ধারিত স্থানে কোয়ারেন্টিনে’ যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আফ্রিকার দেশ মিশরে একজন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করার পর নতুন এই পদক্ষেপের ঘোষণা আসলো।

চন্দ্রবর্ষ আগমনকে ঘিরে উৎসবই চীনের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটিকে চীনের বসন্ত উৎসবও বলা হয়। দেশটিতে ৪০ দিন ধরে চলে এর আনুষ্ঠানিকতা। ৫ ফেব্রুয়ারি চন্দ্রবর্ষের প্রথম দিন। কিন্তু এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে যায় ২১ জানুয়ারি। ১ মার্চ বসন্ত সমাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। প্রতিবছর এই উৎসবকে ঘিরে নিজ নিজ ঘরে ফেরে বেইজিংয়ের অধিকাংশ মানুষ। 

এবারের চন্দ্রবর্ষের শুরুর দিকেই এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এ বছর চন্দ্রবর্ষের সরকারি ছুটিও বাড়ানো হয়েছিল। সেই ছুটি শেষ হয়ে আসায় অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীতে। বিষয়টিকে মাথায় রেখে  শুক্রবার বেইজিংয়ের ভাইরাস প্রতিরোধী ওয়ার্কিং গ্রুপ এক নোটিশে এই নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, শহরটিতে অন্তত ২ কোটি মানুষ বাস করে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে চীনে প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে তদন্ত করতে চলতি সপ্তাহের শেষে একটি মিশন শুরু হবে, যার মূল উদ্দেশ্য হবে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি আসলে কীভাবে ছড়াচ্ছে এবং এর মাত্রা কতটা ভয়াবহ তা যাচাই করা - সংস্থাটির পরিচালক টেডরস আধানম ঘেব্রয়েসাস একথা জানান।


এই মিশনে থাকবেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা, যারা তদন্ত করে দেখবেন যে কীভাবে এবং কখন ১৭শরও বেশি স্বাস্থ্য কর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এই দলে ১২ জন আন্তর্জাতিক এবং ১২ জন চীনের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বিবিসিকে জানান, ‘ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া, এর ভয়াবহতা এবং চলমান পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে চেষ্টার করার উপর বিশেষ জোর দেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন