এসএসসির পাশাপাশি আজ থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে দাখিল পরীক্ষা। তবে সব প্রস্তুতি নিয়ে এ পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি বাগেরহাটের মোংলার চৌরিডাঙ্গা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২২ শিক্ষার্থী। এতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বিশেষ বিবেচনায় এ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, এবার চৌরিডাঙ্গা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে তারা ২২ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। যথাসময়ে ফরম পূরণ করার পরও গতকাল পর্যন্ত তাদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এমনটি ঘটেছে। প্রবেশপত্র না পেয়ে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে। প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তাদের অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন।
মুজাহিদ হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, মাদ্রাসা সুপার রেজিস্ট্রেশনের সময় আমার বাবার নাম ভুল লিখে বোর্ডে পাঠান। পরে ভুল সংশোধনের জন্য ৩ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে। এর পরও আমার প্রবেশপত্র আসেনি। পরীক্ষা দিতে পারব কিনা জানি না।
আয়শা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি। কিন্তু আমাদের প্রবেশপত্র আসেনি।
সুমাইয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীরা বাবা শওকাত শেখ বলেন, এ মাদ্রাসার কোনো শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আসেনি। আমার মেয়ে যদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করতে পারে, তাহলে তার সব চেষ্টা বৃথা যাবে। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। এ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
এ ব্যাপারে চৌরিডাঙ্গা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্দুল হালিম বলেন, পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে প্রবেশপত্র দেয়ার কথা থাকলেও আমরা এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি। কারণ বোর্ড থেকে প্রবেশপত্র আসেনি।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যেকোনো মূল্যে এ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে সুপারকে বলেছি। এ বিষয়ে আমরা মাদ্রাসায় জরুরি সভাও করেছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, আমরা এরই মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।