তীব্র খরায় চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়ার দুগ্ধশিল্প

বণিক বার্তা ডেস্ক

 কয়েক মাস ধরে তীব্র খরার মুখোমুখি রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যার প্রভাব পড়েছে দেশটির কৃষি উৎপাদনে এরই মধ্যে দেশটিতে গমসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি চাপে পড়েছে দেশটির দুগ্ধশিল্পও চলতি বছর দেশটিতে দুধ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে ধারাবাহিকতা থাকতে পারে আগামী বছরেও সময় দেশটির দুধ উৎপাদন ২৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)

ইউএসডিএর ফরেন এগ্রিকালচার সার্ভিসের (এফএএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, খরার পাশাপাশি দেশটিতে গবাদি পশুর খাদ্য পানিতে বাড়তি খরচ এবং দুধ উৎপাদনে সক্ষম গরুর সংখ্যা কমে আসায় চাপে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ার দুগ্ধশিল্প এছাড়া আগামী কয়েক মাসও দেশটিতে গড় বৃষ্টিপাত কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর সেটি হলে শিল্প আরো চাপে পড়তে পারে বলে মনে করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি

তবে ইউএসডিএ বলছে, দুধের সরবরাহ কমে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার দুগ্ধপণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো তরল দুধ পনিরের উৎপাদন স্থিতিশীল রাখবে কারণ দেশটির বাজারে দুটি পণ্যের চাহিদা রয়েছে ফলে উৎপাদকরা অন্য পণ্যের চেয়ে এটি উৎপাদনে গুরুত্ব দেবে যে কারণে আগামী বছর মাখন গুঁড়ো দুধ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অবস্থায় সরকার খাতের উন্নয়নে উৎপাদকদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে

অস্ট্রেলিয়ান ডেইরি প্রডাক্টস ফেডারেশনের সভাপতি গ্রান্ট ক্রোদারস সম্প্রতি সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে জানিয়েছেন, দেশের দুগ্ধশিল্প এখন গঠনগত চ্যালেঞ্জ বাজার প্রতিযোগিতার মুখোমুখি রয়েছে

বাজার বাস্তবতার বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ক্রোদারস বলেন, খরার কারণে দুগ্ধশিল্পের খরচ প্রতিবন্ধকতা আরো এক ধাপ বেড়েছে আগামীতে দুগ্ধপণ্যের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়বে কিন্তু দেশের ব্যবসায়ীরা এটিতে খুব বেশি লাভবান হবেন না কারণ একই সময়ে তাদের খরচও সমানতালে বাড়বে

খরচ বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে ইউএসডিএর প্রতিবেদনেও ইস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার তীব্র খরার বিষয়টি উল্লেখ করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আগামী বছর গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে খড়সহ অন্যান্য খাবারের দাম বাড়বে ফলে কৃষকদের ব্যয় বাড়বে গত বছরের তুলনায় বছর খরচ কমলেও আগামী বছর তা বাড়বে

গত সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি টন গমের দাম ছিল ১১৪ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার কম কিন্তু ২০১৭ সালের তুলনায় অনেক বেশি আর

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন