ওয়ালটন নিয়ে এসেছে ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ‘টোটাল সোলার সলিউশন’

ছবি : বণিক বার্তা

সোহেল রানা, চিফ বিজনেস অফিসার

ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল আপ্লায়েন্স

ওয়ালটন সোলার সলিউশন নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থার একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে ওয়ালটন। এ আস্থার ব্র্যান্ড বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি ওয়ালটন সবসময় চেষ্টা করে নতুন পণ্য বা সেবার মাধ্যমে ভোক্তাদের সন্তুষ্টি অর্জন ও পরিবেশের জন্য টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করার। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে আধুনিক ও উন্নতমানের সোলার পণ্যসামগ্রী। প্রাথমিকভাবে ওয়ালটন সোলার প্যানেল, বাল্ব, টিউব, স্ট্রিট লাইট, ডিজিটাল কন্ট্রোলার, কেবলস ও ফ্যান নিয়ে বাজারে কাজ শুরু করেছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে সোলার সিস্টেমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য বাজারে সরবরাহ করে ভোক্তাদের জন্য একটি ‘‌টোটাল সোলার সলিউশন’ প্যাকেজ স্থাপন করার লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সোলার সেগমেন্টে ওয়ালটনের কতগুলো ক্যাটাগরি ও কী কী পণ্য রয়েছে? 

ওয়ালটন বর্তমানে বাজারে দুটি ব্র্যান্ডে ওয়ালটন ও সেইফ নামে সোলার-সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজারজাত করছে। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৩০টি সোলার পণ্য রয়েছে ওয়ালটনের। ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে সোলার প্যানেল (৮৫ ওয়াট থেকে ২০০ ওয়াট), লাইটিং (ডিসি বাল্ব, ডিসি টিউব, মোশন ওয়াল লাইট), সোলার চার্জ কন্ট্রোলার (১০ ও ২০ অ্যাম্পিয়ার), সোলার টেবিল ফ্যান ও সোলার কেবলস। সাশ্রয়ী মূল্যের এসব পণ্য সারা দেশে পরিবেশক, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। 

ওয়ালটনের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা কেমন? গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে কতটুকু সক্ষম আপনারা? 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সোলার প্যানেল ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের (লাইট, ফ্যান, কেবলস) মোট চাহিদার বিপরীতে ১০-১৫ শতাংশ পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের সক্ষমতা আছে ওয়ালটনের, যা অর্থমূল্যে ৮০-১০০ কোটি টাকা সমমূল্যের। 

নতুন পণ্য সংযোজন, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০২৭-২৮ অর্থবছরে দেশীয় চাহিদার সিংহভাগ ওয়ালটন পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ওয়ালটনের সোলার পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী? গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি সুবিধা নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম।

ওয়ালটন সোলার প্যানেল অধিক আলো শোষণের মাধ্যমে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। অ্যান্টিরিফ্লেকটিং কোটিং ও উন্নতমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ফলে আমাদের সোলার অনেক দিন সার্ভিস দেয়। সোলার প্যানেলে আমরা ২০ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি দিচ্ছি। পাশাপাশি সোলার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রডাক্টেও আমরা সর্বোচ্চ গুণগতমান বজায় রাখছি। 

ওয়ালটন সোলার পণ্য বিদেশে রফতানির টার্গেট আছে কি? 

দেশের চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ওয়ালটন সোলার প্যানেল এবং সোলার-সংশ্লিষ্ট পণ্য রফতানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রথম ধাপ হিসেবে ওয়ালটন আফ্রিকা মহাদেশীয় অঞ্চলের দেশগুলো যেমন নাইজেরিয়া, টোগো, গ্যাবন, কঙ্গো ইত্যাদি দেশে রফতানির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন