সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
(ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে সেগুলো প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট
পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগে
বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি
কমিশনার বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো
গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কিনা। কারণ, গাড়িতে পুলিশের স্টিকার
লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই
করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক
বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।
কমিশনার
বলেন,
অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিক
ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ট্রাফিক
নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে
প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।
ডিএমপি
কমিশনার বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড
করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কোনো কাজ যেন
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় না হয় সেদিকেও সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই ধরনের
অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।
এর আগে
ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি
হিসেবে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে
পুরস্কৃত করেন কমিশনার।