১০ দিন পর কবর খুঁড়ে তোলা হলো কলেজছাত্র ইমনের মরদেহ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার যোগীপোল মহল্লায় অবস্থিত ‘সমর্পণ’ নামে একটি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নির্যাতনে কামরুজ্জামান ইমন (১৮)  নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দাফনের ১০দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে  পুলিশ। এদিকে এঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কলেজ ছাত্র ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে নিহত ইমনের দাফনের ছয় দিন পর গত ২৬ নভেম্বর সোমবার কয়েকটি গণমাধ্যমে খরব প্রচারের পর টনক নড়ে প্রশাসনের।

তারপর গত ২৭ নভেম্বর বুধবার নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় নিরাময় কেন্দ্রের মালিক আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, অশীত কুমার বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব ও জিকু বিশ্বাসকে। পরে ওই দিনই বিকেল ৩টায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়।

অভিযানের সময় নিরাময় কেন্দ্রটি সিলগালাসহ মালিক আব্দুল মতিন ও তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন  ৯জন রোগীর মধ্যে ৬ জন রোগীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং বাকি তিনজনকে কুষ্টিয়ার ‘ফেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ পাঠিয়ে দেয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর বুধবার কলেজ ছাত্র ইমন মৃত্যুর প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল বলে পরিবারের দাবি ছিল। ইমনের পরিবারের উদাসীনতা ও ‘সমর্পণ’ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নির্যাতনে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। নিহত ইমন উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে ও রাজশাহী সিটি কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল সে।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে আজ কবরস্থানে থেকে দাফন করা ইমনের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন