নড়াইলের সব থেকে বড় ব্যবসাকেন্দ্র লোহাগড়া বাজার। এখানে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের প্রায় তিন হাজার দোকান, পাটের মোকাম, আটটি ব্যাংকের শাখা এবং গরু ও ফসলের মৌসুমি হাট। ফলে বছরজুড়েই এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাজারের সংস্কারহীন ভাঙা রাস্তা, জলাবদ্ধতা ও জমে থাকা আবজর্নার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, বাজার থেকে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত কর-খাজনা আদায় করলেও এ দুর্ভোগ নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচুর লেনদেনের কারণে এ বাজারে শাখা খুলেছে বিভিন্ন ব্যাংক। রয়েছে সোনালী, অগ্রণী, জনতা, কৃষি, রূপালী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইসলামী ও ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা। এছাড়া এ বাজারেই রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব থেকে বড় পাটের মোকাম। স্বর্ণালংকার ও স্টিলের আসবাবের জন্যও এ অঞ্চলে বাজারটির সুনাম রয়েছে। তাছাড়া গরুর হাট ও মৌসুমি ফসলের হাট বসায় এখানে আসেন আশপাশের জেলার ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। বাজারের মধ্যেই রয়েছে লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ বাজার পুরো জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু গুরুত্ব অনুযায়ী বাজারটির অবকাঠামোগত সংস্কারে খুব বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন না দায়িত্বরতরা।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বাজারের রাস্তা ও গলিপথের সংস্কার হয়নি। ফলে বর্তমানে এগুলো ভেঙে গিয়ে সৃষ্ট গর্তের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বাজারে কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। যে একটি নালা রয়েছে, সেটিও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এ অবস্থায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় ও বাজারের মধ্যে পানি জমে যাচ্ছে। ময়লা, কাদাপানি পেরিয়ে বেচাকেনায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। আর তাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারের প্রধান চারটি রাস্তার সব থেকে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ পাশেরটির। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে জমে থাকা পানিতে এ পথে এখন চলাচলই দায়। পশ্চিম পাশের অপেক্ষাকৃত বড় পথটিও সামান্য বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে যায়। একই অবস্থা উত্তর পাশের বড় গলিপথেরও। একমাত্র পূর্ব পাশের পথটি ইটের খোয়া ফেলে সংস্কার করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
এদিকে বাজারের একমাত্র নালা পচা ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। নেই কোনো নলকূপ ও গণশৌচাগার। নির্দিষ্ট স্থাপনা না থাকায় সংকীর্ণ গলিপথে কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক রেখে পণ্য ওঠানামা করা হয়। এতে সৃষ্টি হয় যানজট।
কাশিয়ানী পৌর এলাকার বাসিন্দা তুষার বিশ্বাস বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী বাজারের এমন দুর্দশা মেনে নেয়া যায় না
- ঠাকুরগাঁওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা
- দিনাজপুরে চারজনসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক ও খালের জমি দখলের অভিযোগ
- গরমে যশোরে বিক্রি বেড়েছে ফ্যান-এসির
- বান্দরবানে সড়কে নলকূপ স্থাপন বন্ধ করল প্রশাসন
- মির্জাপুরে ট্রেনে আগুন, নামতে গিয়ে ১০ যাত্রী আহত