২০১৯-২০ মৌসুম

১ কোটি ২০ লাখ টনের নিচে নামবে থাইল্যান্ডের চিনি উৎপাদন

বণিক বার্তা ডেস্ক

থাইল্যান্ডে আখের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এতে দেশটির চিনি উৎপাদনে এবার নেতিবাচক প্রভাব বজায় থাকবে। থাই সুগার মিলার্স করপোরেশন লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি উৎপাদনবর্ষে দেশটির চিনি উৎপাদন কমে ১ কোটি ১২ লাখ টনের নিচে নামতে পারে। খবর কজেন্সিস।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক রাংসিত হিয়াংরাত বলেন, থাইল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানিকারক দেশ। এছাড়া পণ্যটির উৎপাদনে দেশটির অবস্থান চতুর্থ। ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশটি মোট ১ কোটি ৪৫ লাখ টন চিনি উৎপাদন করেছিল। কিন্তু এবার দেশটিতে মিষ্টান্ন পণ্যটির উৎপাদন বেশ কমে আসবে।

এদিকে এবার দেশটিতে আখের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১১ কোটি টনে। আগের মৌসুমে উৎপাদন হয়েছিল ১৩ কোটি টন আখ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে থাইল্যান্ডে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন কমেছে দুই কোটি টন।

মূলত মাত্রাতিরিক্ত খরা ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে দেশটিতে আখের ফলন কমেছে। এছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে এবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষকরা আখের পরিবর্তে অন্যান্য শস্য উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

এদিকে উৎপাদন হ্রাসের জের ধরে এবার থাইল্যান্ড থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি কমবে। এ সময়ে সব মিলিয়ে ৮৫ লাখ টন চিনি রফতানি করতে পারে দেশটি। এর আগের মৌসুমে দেশটি ১ কোটি থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টনের মতো চিনি রফতানি করেছিল।

তবে উৎপাদন হ্রাসের পরও এবার মৌসুমে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। বিশ্বের অন্যতম চিনি রফতানিকারক দেশ ভারতে রেকর্ড মজুদ

বাড়ার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির সরবরাহে ভারসাম্য বজায় থাকবে। এতে থাইল্যান্ডের বাজারে এবার প্রতি কেজি চিনির দাম ২৩-২৪ বাথের (২ দশমিক ৩৪ রুপি) মধ্যে থাকতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন