পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে আগুন ৭১ জনের প্রাণহানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭১ আরোহীর মৃত্যু ঘটেছে। রান্নায় ব্যবহূত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে কেউ কেউ ট্রেনে আগুন ধরে যাওয়ার পর বগি থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর এএফপি।

ট্রেনটি পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যাঞ্চলীয় জেলা রহিম ইয়ার খানের একটি গ্রামীণ এলাকা অতিক্রমের সময় ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের অনেকেই দেশটির বৃহত্তম বার্ষিক ধর্মীয় সম্মেলন তাবলিগ ইজতেমায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তাদের কেউ কেউ ঘটনার সময় ট্রেনের ভেতরেই গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে সকালের খাবার রান্না করছিলেন। এর মধ্যে দুটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ট্রেনের কয়েকটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে পাকিস্তান রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলি নাওয়াজ জানিয়েছেন।

পাকিস্তানে দূরপাল্লার যাত্রায় ট্রেনে অনেকেই খাবার বহন করে থাকেন। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডার বহন করা নিষিদ্ধ। নিয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে আলি নাওয়াজ জানান।

ঘটনার পর পরই আগুন ধরে যাওয়া বগিগুলোকে ট্রেনের অন্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। সময় অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যরা দ্রুত সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার প্রয়াস চালান। এছাড়া অন্যান্য উদ্ধারকারী সেনাসদস্যরাও সেখানে এসে উপস্থিত হন।

ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭১ জন নিহত হয়েছেন বলে ঘটনাস্থলের সবচেয়ে কাছাকাছি শহর লিয়াকতপুরের একটি হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট মুহাম্মদ নাদিম জিয়া নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আহতের সংখ্যা ৪৪। অন্যদিকে স্থানীয় এক উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মকর্তা আদনান শাবির জানান, মৃতের সংখ্যা ৭৩- দাঁড়িয়েছে।

মুহাম্মদ নাদিম জিয়া জানান, নিহতদের অনেকেই মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছেন। চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়তে গিয়ে মাথায় আঘাত পান তারা।

আহতদের পার্শ্ববর্তী বাহাওয়ালপুর শহর রহিম ইয়ার খান জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনেকেরই মরদেহ ভয়াবহ মাত্রায় পুড়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিষয়ে শোক প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ভয়ংকর দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং প্রার্থনা করি, আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। বিষয়ে অতিসত্বর জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছি আমি।

ইমরান খান জানান, পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরনো জনপ্রিয় রেলসেবাগুলোর অন্যতম তেজগাম ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত যাত্রীসেবা দিয়ে থাকে ট্রেনটি। তবে বার্ষিক তাবলিগ ইজতেমা উপলক্ষে ট্রেনটি যাত্রীদের নিয়ে লাহোরে যাচ্ছিল বলে জানান পাকিস্তান রেলওয়ের কর্মকর্তা আলি নাওয়াজ।

এছাড়া নিহতদের অধিকাংশই দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা।

ট্রেনের অগ্নিদগ্ধ বগি তিনটির মধ্যে দুটি ইকোনমি ক্লাসের একটি বিজনেস ক্লাসের। এসব বগির প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৮৮ জন করে যাত্রী বহন করা যেত।

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে পাকিস্তানের মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারি এক টুইট বার্তায় বলেন, দুর্ঘটনা এড়ানো

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন