চলতি বছর বিশ্বব্যাপী ইস্পাতের চাহিদা ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১৭৭ কোটি ৫০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। আর আগামী বছর চাহিদা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ কোটি ৫৭ লাখ টনে। আর এ সময় বৈশ্বিক মোট চাহিদার অর্ধেকই আসবে চীন থেকে। চলতি মাসে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড স্টিলের শর্ট রেঞ্জ আউটলুক (এসআরও)-২০১৯ ও ২০২০ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের অবকাঠামো ও শিল্প খাত দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশটির ইস্পাত ব্যবহার। ফলে দেশটি ইস্পাত উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ ব্যবহারকারীও দেশটি। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি ও আগামী বছরে ইস্পাতের বৈশ্বিক চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি থাকবে চীনের নিয়ন্ত্রণে।
ওয়ার্ল্ড স্টিলের প্রাক্কলন প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে চীনে ইস্পাতের চাহিদা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৯০ কোটি ১ লাখ টনে। এর বিপরীতে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের চাহিদা দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৮৭ কোটি ৪৯ লাখ টনে। আর ২০২০ সালে চীনা ইস্পাতের চাহিদা ১ শতাংশ বাড়বে। যেখানে বাকি দেশগুলোয় চাহিদা বাড়বে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে কেবল উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতেই চাহিদা বাড়বে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। সংস্থাটির মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দা ভাবের মধ্যেও কেবল উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশে ইস্পাতের ব্যবহার বাড়ায় মোট চাহিদা স্থিতিশীল থাকবে।
প্রতিবেদন সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড স্টিলের ইকোনমিকস কমিটির চেয়ারম্যান আল রেমিথি বলেন, এসআরওর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন মতে, বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়েও চলতি বছরে প্রত্যাশার তুলনায় ইস্পাতের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়বে। বিশেষ করে চীনের কারণে চাহিদার এ প্রবৃদ্ধি হবে। কারণ বাণিজ্যযুদ্ধের অনিশ্চয়তা, ভূরাজনৈতিক ইস্যুসহ বিভিন্ন কারণে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য স্থবির অবস্থায় রয়েছে। চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের ইস্পাত ব্যবহারের প্রবৃদ্ধিতেও শ্লথগতি। বাণিজ্য অনিশ্চয়তায় অটো ইন্ডাস্ট্রি উৎপাদন সীমিত করে নিয়ে আসছে। তবে ধীরগতিতে হলেও অবকাঠামো খাত ইস্পাত ব্যবহার বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
আল রেমিথি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা থাকলেও আগামী বছর ইস্পাতের চাহিদা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে। চীন ব্যতীত অন্যান্য উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোয় ইস্পাতের ব্যবহার বাড়বে। তবে বর্তমান অনিশ্চয়তা আগামীতেও বিদ্যমান থাকলে চাহিদার প্রাক্কলন কিছুটা কমার আশঙ্কা দেখছেন তিনি।
চলতি বছর চীনে আবাসন খাতে ইস্পাতের ব্যবহার বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
- ঊর্ধ্বমুখী দামে এশিয়ায় কমছে এলএনজির চাহিদা
- আন্তর্জাতিক বাজারে দুই বছরের সর্বোচ্চে তামার দাম
- ঊর্ধ্বমুখিতায় সপ্তাহ শেষ করতে যাচ্ছে জ্বালানি তেলের বাজার
- তীব্র গরমে ভারতে রেকর্ড মাত্রায় বাড়ছে চিনির চাহিদা
- দরপতন ঠেকাতে চা নিলামে বেঁধে দেয়া হয়েছে ফ্লোরপ্রাইস
- ফের কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম