দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে আজ দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। মা-ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য গত কয়েক বছরের মতো এবারো আশ্বিনের পূর্ণিমা সামনে রেখে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মত্স্য অধিদপ্তর। এ সময় দেশে ইলিশের আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
মত্স্য অধিদপ্তরের বরিশালের বিভাগীয় উপপরিচালক ড. অলিউর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বরিশাল বিভাগে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অভিযোগ রয়েছে, সেসব এলাকায় এবার বাড়তি নজরদারি রাখা হবে। এ সময় তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলে ২০ কেজি করে চাল পাবেন।
এ নিষেধাজ্ঞার সময় জেলে অধ্যুষিত ২২ জেলায় ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৯ জন কার্ডধারী জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এজন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৯ টন চাল। বিভাগীয় মত্স্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩ জন জেলে চাল বরাদ্দের সুবিধা পাবেন। ২০ অক্টোবরের মধ্যে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
মত্স্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগামী ১ নভেম্বর থেকে আট মাসের জন্য শুরু হবে জাটকা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। জাটকা (৯ ইঞ্চির কম ইলিশ) ধরার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
অভয়াশ্রমে বিশেষ নজরদারি: মত্স্য বিভাগ সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা চলার সময় উপকূলে সরকার ঘোষিত ইলিশের অভয়াশ্রমে ব্যাপক নজরদারি করবে মত্স্য বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এগুলো হচ্ছে ভোলার চর ইলিশার মদনপুর থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে চররুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনার ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত পদ্মার ২০ কিলোমিটার, বরিশাল সদরের কালাবদর
- ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে ইইউ
- আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
- আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির শপথ গ্রহণ
- মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- দেশজুড়ে ‘এমপি-রাজ’ সৃষ্টি করেছে ক্ষমতাসীনরা —রুহুল কবির রিজভী