বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

২০৩০ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের অর্ধেকই থাকবে শহরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে দারিদ্র্য হ্রাসের গতি এখন কমে এসেছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, দারিদ্র্য হ্রাস হচ্ছে অসমভাবে। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের দরিদ্রদের অর্ধেকেরই বসবাস হবে শহরে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) . শামসুল আলম, পরিসংখ্যান তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রভার্টি অ্যান্ড ইকুইটি গ্লোবাল প্র্যাকটিসের গ্লোবাল ডিরেক্টর ক্যারেনিনা সানচেজ প্রমো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ পভার্টি অ্যাসেসমেন্ট শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ মারিয়া ইউজেনিয়া জেনোনি। তিনি বলেন, দারিদ্র্য কমার গতি এখন তুলনামূলকভাবে কম। তাছাড়া দারিদ্র্য কমেছে অসমভাবে। ২০১০ সাল থেকে পূর্ব পশ্চিমের বিভাগগুলোর মধ্যকার দারিদ্র্য পরিস্থিতির ঐতিহাসিক পার্থক্য আবার ফিরে এসেছে। পশ্চিমে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। রাজশাহী খুলনা বিভাগে দারিদ্র্য পরিস্থিতি প্রায় একই অবস্থানে রয়েছে। চট্টগ্রামে দারিদ্র্য কমেছে পরিমিতভাবে। তবে বরিশাল, ঢাকা সিলেটে দারিদ্র্য কমেছে দ্রুত হারে। প্রথাগত বিভিন্ন চালিকাশক্তি দারিদ্র্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এর মধ্যেও অগ্রগতি আনার ক্ষেত্রে কিছু চালিকাশক্তির ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে। তাই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, দারিদ্র্য নিরসনের তথ্য তিন বছর আগের। তবে বর্তমান তথ্য অনেক বেশি উৎসাহব্যঞ্জক। কেউ একবার দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে এলে তার দারিদ্র্যের মধ্যে প্রবেশের আর সুযোগ নেই। সে ব্যবস্থা আমরা চালু করেছি। প্রবৃদ্ধি হচ্ছে দেশের দারিদ্র্য নিরসনের মূল চাবিকাঠি। দেশে টেকসই মানসম্পন্ন প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। প্রবৃদ্ধির অর্জন প্রত্যেক মানুষকে স্পর্শ করছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্য কমাচ্ছে। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ক্ষুধা দারিদ্র্য থাকবে না। শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কর ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রসারিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন