পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে গত শুক্রবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বন্ধ করে দেয়া লঞ্চ চলাচল। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গতকাল দুপুর থেকে এ রুটে ফেরিতে যানবাহন পারাপার বন্ধও করে দেয়া হয়েছে। ফলে ঘাট এলাকায় হাজারখানেক যানবাহন আটকা পড়েছে। স্রোতের কারণে নদীর তীরে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে গত দুদিনে একটি ঘাট ও অর্ধশত বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
ঘাটসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীতে তীব্র স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলতে গিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। এতে ঘাটে ফেরি ভিড়তে না পারায় যানবাহন পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে তিনটি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ভাঙনের কারণে আরো দুটি ঘাট বিলীনের ঝুঁকিতে আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েক দিন পদ্মা নদীতে পানি বাড়লেও তা কমতে শুরু করেছে। তবে বিভিন্ন পয়েন্ট পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সকাল ৯টায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৬৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ পয়েন্টে পানি ৬ সেন্টিমিটার কমলেও বিপত্সীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর পাশাপাশি নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করে। এসব ফেরি দিয়ে মূলত পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে যানবাহন বোঝাই ফেরি ঘাটে ভিড়তে পারছে না। ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে গতকাল দুপুর থেকে এ রুটে ফেরিতে যানবাহন পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে যাত্রী পারাপারের জন্য শুধু তিনটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি চলাচল করছে। বিশেষ বিবেচনায় মাঝে মাঝে প্রাইভেট কার পার করানো হচ্ছে।
দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচলের জন্য ছয়টি ঘাট থাকলেও সচল রয়েছে মাত্র তিনটি। বাকি তিনটি ঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে ১নং ঘাটটি গত শুক্রবার ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যানবাহন পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়ার জিরো পয়েন্ট থেকে জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার