দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে নওগাঁর ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ১১ কিলোমিটার। অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল তো হচ্ছেই, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া সড়কটি বর্তমানে ব্যবহার করতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে।
নওগাঁ-ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭১ কিলোমিটার। এর মধ্যে নওগাঁ থেকে ধামইরহাট বাজার পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটারে যানবাহন চলাচলে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে দুর্ভোগ সীমা ছাড়ায় সড়কের ধামইরহাট থেকে জয়পুরহাটের প্রায় ১১ কিলোমিটারে। ধামইরহাট বাজার থেকে শুরু করে হরীতকীডাঙ্গা, শলপি বাজার, নানাইচ মোড় ও মঙ্গলবাড়ী বাজারের সামনে সড়কের পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গেছে। বৃষ্টির সময় অসংখ্য ছোট-বড় গর্তে পানি জমে যায়। হাঁটু পরিমাণ কাদায় তখন হেঁটে চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়ে। অন্যদিকে শুকনো মৌসুমে ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো সড়ক এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এ অবস্থা চললেও গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। অথচ এ পথে প্রতিদিন দুই জেলার লাখো মানুষ চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে পানি জমে আছে। বিশেষ করে ধামইরহাট বাজারে সড়কটি একেবারেই বেহাল হয়ে পড়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায়ই এসব গর্তে পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে যায়। তখন দীর্ঘ সময় এখানে যানজট সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাছাড়া প্রায়ই ছোটখাটো যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের দাবি, মূলত দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি এখন মরদ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
বাজারের ধানের আড়তদার আলহাজ শবনম কাওছার বলেন, সড়কটি বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে আমাদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। পিচ ও খোয়া উঠে সৃষ্ট খানাখন্দে প্রায় প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে যাচ্ছে। বড় যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে।
আরেক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বলেন, মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ধামইরহাট বাজারের অধিকাংশ পানি সড়কে গিয়ে পড়ে। ফলে সংস্কার করা হলেও তা টিকবে কিনা সন্দেহ।
এ সড়কের বাসচালক ফুলবর হোসেন বলেন, বড় বড় গর্তের কারণে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হয়। যাত্রীরাও ভয়ে থাকে। তাছাড়া এ পথে অসংখ্য পণ্যবাহী ভারী ট্রাক চলাচল করে। তিনি দাবি করেন, এ সড়ক দিয়ে সর্বোচ্চ ২২ টন