রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন নিয়ে কোনো উত্কণ্ঠা বা শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
গতকাল দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য সাধারণ জনগণ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভালো আচরণ এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে একই সময় নির্বাচন ও দুর্গা পূজা উদযাপন নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আপত্তি ছিল। পরে ওই সময় নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তাদের বোঝানো সম্ভব হওয়ায় বর্তমানে তাও কেটে গেছে।
সিইসি নুরুল হুদা বলেন, রংপুরে আগেও বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। তাই এ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ভোটারদের কোনো সমস্যা হবে না। ইভিএমবিষয়ক প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। অবশ্য ইভিএম পদ্ধতিতে যেহেতু মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হয়, তাই কোনো ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে ত্রুটি সারানোর জন্য টেকনিক্যাল টিমও প্রস্তুত আছে।
কীভাবে রোহিঙ্গারা জালিয়াতি করে বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, কিছু রোহিঙ্গা জালিয়াতি করে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করেছেন ঠিকই কিন্তু এ জালিয়াতির কাজে তারা নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে কোনো সুবিধা পাননি। এ কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের অধিকাংশ নির্বাচন অফিসের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন। অবশ্য তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।