ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরই জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আবাসিক হলটির পাঁচটি কক্ষ ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিবদমান দুটি শাখা ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন বাংলার মুখ ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। উভয় পক্ষই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আহতরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিফন, বাংলা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ফাহাদ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শাহ আজহার হোসেন তীব্র। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ব্যাংকে পরীক্ষার ফির টাকা জমা দিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান ভিএক্স ও বাংলার মুখের জুনিয়র কর্মীরা। এ সময় ভিএক্সের কর্মীরা লাইন না মেনে পরীক্ষার ফি জমা দিতে চাইলে বাংলার মুখের কর্মীরা বাধা দেন। পরে উভয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় বাংলার মুখের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়। এ খবর পেয়ে বাংলার মুখের নেতাকর্মীরা শহীদ আবদুর রব হলে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হয়। পরে ভিএক্সের নেতাকর্মীরাও শহীদ আবদুর রব হলের সামনে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের মারামারিতে তিন কর্মী আহত হন। একপর্যায় আবাসিক হলটিতে বাংলার মুখের কর্মীদের ৪১৮-৪২২ নম্বর কক্ষ ভাংচুর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঝামেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক ও বাংলার মুখের নেতা আমীর সোহেল এবং ভিএক্স পক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়। উভয় পক্ষের সিনিয়ররা বসে বিষয়টি সমাধান করে ফেলছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, উভয় পক্ষ বসে নিজেরা সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আবাসিক হলের কক্ষ ভাংচুরের বিষয়ে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে