কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মোকাদ্দেস উল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নুর মোহাম্মদ রাজুসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাঠে খেলা চলাকালীন ফাউল করাকে কেন্দ্র করে বাগিবতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে বাংলা বিভাগের রিয়াদ, আব্দুর রহমান, সাকিবসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে মার্কেটিং বিভাগের এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা দেন। পরে দুই পক্ষে উত্তেজনা শুরু হলে আয়োজক কমিটি ২০ মিনিটের মতো খেলা বন্ধ রাখে। পরবর্তী সময়ে খেলা শেষ হলে আগের ঘটনার জের ধরে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থামাতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। শাখা ছাত্রলীগের ইমাম হোসেন মাসুম, জুনায়েদ আহমেদসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মারধর করলে তারা বাংলা বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয়কে বেধড়ক মারধর করেন। পরে বিজয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোকাদ্দেস উল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নুর মোহাম্মদ রাজুসহ ১২ জন আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা মাসুম বলেন, মারামারির সময় আমি থামাতে গেলে কেউ একজন ধাক্কা দেন। আরেকজন আমার পেটে ছুরিজাতীয় কিছু দিয়ে জখম করেন। এতে আমার পেটের কিছু অংশ কেটে যায়। তখন উত্তেজিত অবস্থায় হয়তো কাউকে ধাক্কা দিয়েছিলাম।
আরেক ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ বলেন, আমি মারামারি ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাকে মারধর করেন। তবে আহত বিজয়কে মারধরের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এদিকে সংঘর্ষের সময় মাঠে সাদা শার্ট পরা এক শিক্ষার্থীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কামরুন নাহার। তিনি বলেন, মারামারির মাঝে এক শিক্ষার্থীর হাতে একটি পিস্তল দেখেছি। ছেলেটিকে দেখলে আমি চিহ্নিত করতে পারব। প্রক্টরিয়াল বডি থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছি। তবে আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।