সিল্করুট

ঔপনিবেশিক ঢাকা ও চট্টগ্রামের তামাক শিল্প

আহমেদ দীন রুমি

হুঁকা প্রস্তুতকরণ ছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি

‘এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অনুমান করতে পারি, বাংলায় উৎপাদিত তামাকের বার্ষিক মূল্য ১ কোটি রুপি, বা ১০ লাখ স্টার্লিং।’  

বক্তব্যটি বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট প্রেস থেকে প্রকাশিত The Cultivation and Curing of Tobacco in Bengal-এর ভূমিকা থেকে নেয়া। ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত বইটির এ বক্তব্য থেকেই বাংলায় সে সময়ের তামাক উৎপাদন ও বিস্তৃতির চেহারা চোখে ভেসে ওঠে। দক্ষিণ এশিয়ায় তামাকের সূত্রপাত পর্তুগিজদের হাতে ঘটলেও বাংলায় বিস্তৃতিতে ভূমিকা রেখেছে ইংরেজরা। তবে বাংলায়, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য তামাকের বিস্তৃতি ছিল মন্থর। ১৮৭৩ সালের প্রতিবেদনে ঢাকার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে তামাকের চাষাবাদ হয় স্বল্প পরিসরে। কেবল পারিবারিক চাহিদাকে মাথায় রেখে। খুব কম সময়ই বিক্রির প্রসঙ্গ ওঠে। ঢাকা বিভাগের ঢাকা, বাখরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের আর্দ্র আবহাওয়াকে তামাক চাষের জন্য উপযোগী বিবেচনা করা হতো। তবে সিলেটে চাষের জন্য উপযোগী ছিল কেবল শুষ্ক মৌসুমটাই। সেখানের বর্ষা মৌসুমে তামাক উৎপাদিত হয় না। 

বাখরগঞ্জের কালেক্টরের ১৮৭৩ সালের দেয়া তথ্যমতে, সেখানকার ১০০ একরের বেশি অঞ্চলে তামাকের চাষ হয়। একই সময়ে ময়মনসিংহের ৫০০০ একরের বেশি অঞ্চলে চাষ হতো তামাক। সিলেটে চাষকৃত ভূমির পরিমাণ ছিল ৮০ একরের মতো। ঢাকা ও ফরিদপুর জেলায় তামাক চাষের যথাযথ তথ্য পাওয়া যায়নি তখনো, তবে কালেক্টরের ভাষ্য অনুযায়ী পরিমাণ ছিল খুবই কম। উৎপাদনের আকার যে খুব বেশি ছিল, তাও কিন্তু না। ঢাকায় একরপ্রতি ৬-৭ মণ তামাক চাষ হতো। ময়মনসিংহে একরপ্রতি উৎপাদন ছিল ৫ মণ ও বাখরগঞ্জে ৭-৮ মণ। ঢাকায় তামাক চাষের জন্য একরপ্রতি খরচ ছিল ১৫ থেকে ১৬ রুপি। বাখরগঞ্জে একরপ্রতি খরচ ১৫ রুপি এবং ময়মনসিংহে ১০-১৪ রুপি। সিলেটে খরচ ছিল আরো কম, একরপ্রতি ১-৮ রুপি। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায়, তামাক উৎপাদনের আকার ছিল যথেষ্ট কম। যেহেতু বিভাগের সবক’টি জেলায়ই উৎপাদিত তামাকের পরিমাণ কম। তাই দাম আন্দাজ করাটাও বেশ কঠিন। তার পরও বাখরগঞ্জের প্রতি একরে তামাকের দাম ৩০ রুপি। ময়মনসিংহে তখন প্রতি মণ তামাকের দাম ৫-৬ রুপি। সিলেটে এ হিসাব আরো কম। সেখানে খুব একটা বিক্রির ঘটনা ঘটত না। যদি বিক্রি করাও হতো, তাহলে ২ রুপিতে ২ থেকে ৮ মণ পর্যন্ত তামাক পাওয়া যেত। ফরিদপুর উৎপাদিত তামাকের গুণগত মান ছিল যথেষ্ট নিচে। 

ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোয় তামাক সংগ্রহের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। তামাক চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয় আশ্বিন ও কার্তিক মাসে। সাধারণত কৃষকের বাড়ির পাশে উঁচু দেখে জমি নির্বাচন করা হতো। প্রথমে বীজতলা প্রস্তুত করে সেখানে চারা তৈরি করা হয়। মাসখানেক পরে সেই চারা তামাক গাছ সরিয়ে নির্বাচিত জমিতে স্থানান্তর করা হতো। তার আগে অবশ্য নির্বাচিত জমিতে কয়েক দিন পর পর লাঙল দিয়ে প্রস্তুত করা হতো। সার হিসেবে দেয়া হতো গরুর গোবর। স্থানান্তরের কাজটি করা হতো সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে। প্রতি একর জমিতে প্রায় ১২০০ চাড়া রোপণ করা হতো। চারা সরিয়ে নেয়ার কিছুদিন পর থেকে দফায় দফায় সেচ দেয়া হতো। চারাগাছগুলো ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হলে নিচের দিককার পাতা তুলে ফেলতেন কৃষকরা। ফলে ওপরের পাতাগুলোর আকার বেড়ে যেত। গাছের উচ্চতা ২ ফুটে পৌঁছালে প্রতি পাতার নিচ থেকে গজাত নতুন শাখা। এমন পরিস্থিতিতে শাখাগুলো সরিয়ে ফেলা হতো। এভাবে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ গাছগুলো পাতা সংগ্রহ করার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠত। কৃষকরা তখন গাছ কেটে মাঠেই ফেলে রাখতেন এক রাত। পরে পাতাগুলো ধুয়ে রোদে শুকাতে দেয়া হতো, যাতে পাতার রঙে পরিবর্তন আসে। তামাক চাষের এ পদ্ধতি ঢাকার প্রায় সব জেলায়ই ছিল কমবেশি। সংগ্রহের পর তামাক পাতাগুলো বেঁধে বাড়িতেই রাখা হয়। যখন পাতাগুলো শুকিয়ে যায়, তখন ৮-১০টি পাতা নিয়ে তৈরি করা হতো বান্ডল করে। তবে কিছু তামাক গাছ জমিতে রেখে আসা হতো, যেন পরবর্তী মৌসুমে বীজ সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকে। যেহেতু তামাক চাষের পরিমাণ ঢাকায় খুব কম; ফলে বিভাগটি থেকে তামাক রফতানিও হতো না ১৮৭৪ সালের আগে পর্যন্ত। ১৮৬৯ সালের দিকে ঢাকার তামাকের বীজ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। ঢাকা, বাখরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহের কালেক্টরের নেয়া সে পরীক্ষা ব্যর্থ হয়, কারণ সে বীজের অঙ্কুরোদ্গমই হয়নি। ঢাকার সিভিল সার্জনও পরীক্ষা চালিয়েছিলেন তখন। তার প্রথম চেষ্টা সফল হলেও পরের দফায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ফরিদপুরের সিভিল সার্জনও পরীক্ষা চালিয়েছিলেন জেলে। সেখানে যে তামাক উৎপাদিত হয়, তার বৈশিষ্ট্য ফরিদপুর অঞ্চলে উৎপাদিত তামাকের মতোই।

ঢাকা বিভাগে তামাক চাষের সবচেয়ে উপযোগী অঞ্চল ছিল ময়মনসিংহ। সম্ভবত প্রধান কারণ এ অঞ্চলের মাটির গড়ন অনেকটা রংপুর অঞ্চলের মাটির মতোই। তামাক উৎপাদনের জন্য রংপুরের খ্যাতি অন্য মাত্রার। ময়মনসিংহের কালেক্টরের দেয়া প্রতিবেদন অনুসারে, ‘ওই অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু তামাক চাষের জন্য দারুণভাবে উপযোগী। সেখানে যা দরকার, তা হলো ভালো বীজ ও মাড়াইয়ের মান উন্নত করা। এখানকার কৃষকরা এখনো ভালো মানের বীজ পায়নি। বরং আগের বছরের বীজেই সংরক্ষণ করে যাচ্ছে।’ 

চট্টগ্রামে তামাক চাষের ইতিহাস ঢাকার চেয়ে সমৃদ্ধ। খুব সম্ভবত উপকূলবর্তী ও বাণিজ্যিক রুটে অবস্থিত হওয়ার কারণে। ১৮৭৩ সালে চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করেন, সেখানে কমবেশি সব কয়টা জেলাতেই তামাক চাষ হয় স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য। অধিকাংশ তামাকই উৎপাদিত হতো দক্ষিণ চট্টগ্রামের মগ অঞ্চলে। চাষকৃত জমির পরিমাণ আনুমানিক ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার একর। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ছিল কক্সবাজার উপজেলায়। ত্রিপুরা জেলায় চাষকৃত জমির পরিমাণ ১০০ একরের বেশি ছিল না। নোয়াখালী জেলায় ১৮৭৪ সালের আগে পর্যন্ত তামাক চাষ হয়নি। ত্রিপুরায় প্রতি একরে ৮ মণ তামাকের উৎপাদন হতো। চট্টগ্রাম জেলায় উৎপাদন হতো ১২-১৩ মণ। ত্রিপুরায় তামাক উৎপাদনে প্রতি একরে ব্যয় হতো ৮ রুপি ও চট্টগ্রামে ১৫-২০ রুপি। তবে ত্রিপুরায় উৎপাদিত তামাকের মান ছিল খুবই নিম্ন। কেবল সমাজের নিচের দিকের মানুষই প্রয়োজনে তামাক চাষ করে থাকে। যাদের অবস্থা কিছুটা সচ্ছল, তারা আমদানি করা তামাকই খেতেন। 

চট্টগ্রামে সে সময় দুটি ভিন্ন জাতের তামাক জন্মাত। সাধারণ জাতের তামাক পরিচিত ছিল ফাসিয়া নামে; এর চাহিদাও ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। মণপ্রতি ৫-৭ রুপিতে বিক্রি হতো এ তামাক। তামাক চাষেও ছিল স্বাতন্ত্র্য। সেখানকার ম্যাজিস্ট্রেটের দেয়া তথ্য অনুসারে, তামাক চাষের জন্য সেখানকার উঁচু ভূমি শনাক্ত করা হতো। যখন ছোট চাড়াগুলোর বয়স বিশ থেকে বাইশ দিনে পড়ত, তারপর সরিয়ে ফেলা হতো। গরুর গোবর ব্যবহার করা হতো সার হিসেবে। বীজতলায় তৈরি রাখা হয় নভেম্বরের দিকে। তীব্র রোদ হলে তা থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়। ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই সরিয়ে ফেলা হতো চারা। মার্চ থেকে এপ্রিলের আগে পাতা কাটা হতো না। যদি মাটি ভালো থাকে তাহলে দ্বিতীয়, এমনকি তৃতীয় দফায় ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হতো। ত্রিপুরা জেলার দিকে তামাক চাষ করা হতো নদী, খাল ও পুকুরের তীরবর্তী অঞ্চলগুলোয়। এক্ষেত্রে প্রথমে বীজতলায় বীজ বপন করে পরে আশানুরূপ বড় হলে চারা সরিয়ে নেয়া হতো নির্ধারিত জমিতে। চারা সরিয়ে নেয়ার আগেই সে জমিকে গরুর গোবর ও জৈব সার দিয়ে প্রস্তুত রাখা হতো। বীজ বপন করা হতো অক্টোবরের শেষ দিকে। চারা সরানো হতো নভেম্বরের দিকে ও ফসল কাটা হতো ফেব্রুয়ারির দিকে। কাটার পর সেখানে খুব একটা যত্ন করা হতো না। কেবল পাতা কেটে ও সূর্যের আলোতে শুকানো হতো। এ কারণে এখানকার তামাকের মানও বেশ নিম্ন। 

চট্টগ্রামের নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের আবহাওয়ার সঙ্গে সিলেট, কাছাড় ও ত্রিপুরার মিল রয়েছে। তবে সমুদ্রের তীরবর্তী হওয়ার কারণে এখানকার রাতগুলো বেশ শীতল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ঝিরিঝিরি বাতাস থাকে। ১৮৭৩ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, পূর্ববর্তী পাঁচ বছরে বিভাগের তামাক চাষে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি। উৎপাদিত তামাকের অধিকাংশই ব্যয় হয়েছে পারিবারিক চাহিদা মেটানোর জন্য। তবে কর্ণফুলী নদীর পাশে ৯ একর জমিতে চাষ হতো তামাক। কাপ্তাইয়ে ৪ একর, ফেনী নদীর পাশে ১৭ একর ও তার উপনদীতে ৭ একর, সাঙ্গু নদীর পাশে ৪ একর এবং তার উপনদীতে ২৪ একর, মাতামুহুরী নদীর তীরে ১২ একর ও তার উপনদীতে ১১ একর জায়গাজুড়ে চাষ হতো তামাক। যদিও খরচের ব্যাপারে অনুমান করা যায় না; তবে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষরা তামাক চাষের জন্য বাইরে থেকে শ্রমিক নিত না। ভারী কাজগুলো পুরুষরা করত, আর হালকা কাজগুলো করত নারী ও শিশুরা। শ্রমিকদের মজুরি দিনে ৫ আনা। সেদিক থেকে এক একর জমিতে খরচ পড়তে পারে ৮ রুপি। এ অঞ্চলের তামাকের মানভেদে দামেরও পার্থক্য আছে। 

সাঙ্গু নদীর আশপাশে তিন ধরনের তামাক উৎপাদিত হয়। তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ধরন হচ্ছে খোয়া ডং। মাতামুহুরী নদীর পাশের উপত্যকা থেকেই এ নামের উদ্ভব। বর্মি ভাষা খোয়া ডং শব্দের অর্থ কবুতরের পাখা। এ ঘরানার তামাকের পেছনে যতটা না উৎপাদনপ্রণালি দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী সেখানকার মাটি। সেখানকার বীজ অন্য অঞ্চলে নিয়ে বপন করেও দেখা হয়েছিল, তার গুণগত মান ঠিক থাকেনি। সাঙ্গু উপজেলায় বাকি দুই প্রকারের তামাক পাওয়া যেত সেই সময়ে। দ্বিতীয়টির নাম ম্রি খিওং ও তৃতীয় জাতের তামাকের নাম রিগরে খিওং। তিন প্রকারের মধ্যে দামের পার্থক্য আছে। খোয়া ডং সেরপ্রতি দাম ৯ আনা। ম্রি খিউং সেরপ্রতি দাম ৮ আনা এবং রিগরে খিউং সেরপ্রতি ৬ আনা। এ তিন প্রজাতির বাইরে খাটো ধরনের তামাক পাওয়া যেত। সেগুলো বিক্রি করা হতো সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষের কাছে। তার দাম সেরপ্রতি ৩ আনা। তামাক ব্যাপকভাবেই খেতে অভ্যস্ত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলো। তারা একে চুরুট হিসেবে কিংবা পাইপে নিয়ে সেবন করে। কখনো কখনো তার পাতা চুষেও খায়। তামাকের পানি বোতলজাত করে রাখা হয় এবং রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। 

চট্টগ্রাম অঞ্চলে তামাক সংগ্রহ করা হয় মার্চের দিকে। তবে এপ্রিলেও চলে সংগ্রহ। প্রতি গাছে ৫০-৬০টি পর্যন্ত পাতা জন্মায়। তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে গাছ পরিণত অবস্থায় পৌঁছায়। পরিণত পাতা দেখতে হয় লালচে ধরনের। পাতা সংগ্রহের পর প্রায় এক মাস ধরে চলে শুকানোর প্রক্রিয়া। তারপর ময়লা সরিয়ে জমানো হয়ে বাঁশের পাত্রে। যা প্রয়োজন তা খাওয়ার জন্য ঘরে রাখা হয়, বাকিগুলো করা হয় বিক্রি। চট্টগ্রাম থেকে তামাক রফতানির স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তার পরও প্রতি বছর মাতামুহুরী থেকে ৮০ মণ, সাঙ্গু থেকে ৫০ মণ ও ফেনী থেকে ১৫ মণ রফতানি হয়। মাতামুহুরীর অধিকাংশ পণ্য কক্সবাজার হয়ে আকিয়াব চলে যায়। সেখানে চুরুট হিসেবে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। দুই দফা বিদেশী জাত নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয় এখানে। প্রথমবার ১৮৬৯ সালে ও দ্বিতীয়বার ১৮৭১ সালে। ভার্জিনিয়া টোবাকো থেকে বীজ দেয়া হয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধানদের মাঝে বণ্টন করার জন্য। প্রথমবার কোনো বীজই অঙ্কুরোদ্গম হয়নি, দ্বিতীয়বার অঙ্কুরোদ্গম ঘটলেও তা ছিল রোগা। 

ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তামাক উৎপাদিত হতো ময়মনসিংহ অঞ্চলে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তামাক ছিল মানে এগিয়ে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় অধিকাংশ জেলার উৎপাদনই ছিল স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য। তার অর্থ ১৮৭৪ সালের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তামাক সর্বব্যাপী রূপ না নিলেও মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। 

আহমেদ দীন রুমি: সহসম্পাদক, বণিক বার্তা