টানা চতুর্থ দিনের মতো কোটা বিরোধী আন্দোলনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঢাবি

ছবি : বণিক বার্তা

টানা চতুর্থ দিনের মতো চলমান রয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিলে বাধা দেন সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার কর্মীরা। কিন্তু তা অতিক্রম করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। কোনো কোনো হলে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা হলের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। এতে বাঁধা দেয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা তালা খুলে এবং ভীতি পাশ কাটিয়ে দলে দলে আন্দোলনে যোগ দেন।

কোটা আন্দোলনের ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সূর্যসেন হলের গেট পার হতে গেলে বাধা দেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ভেতর আমরা কোটা আন্দোলনের স্লোগান কেন দিয়েছি এই অজুহাত দেখিয়ে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান আমাদের বাধা প্রদান করে। কোটার পক্ষে সাফাই গাইতে তাদের বাধা প্রদান করেছে বলে তারা জানান। কবি জসিম উদ্দীন হলে ছাত্রলীগ নেতারা প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হলের আড়াই তলায় অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা জানান, কেউ যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারে। সেজন্য রাজনৈতিক প্রোগ্রামের নামে সবাইকে আটকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ কর্মী বণিক বার্তাকে বলেন, আমাদের ওপর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

এদিকে ছাত্রলীগের বাধা অতিক্রম করে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে জমায়েত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে থেকে সেখানে পুলিশ বাহিনীর সুসজ্জিত সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে পুলিশ পিছু হটে যায়। পরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন