১৭ জুলাই বুধবার আশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

দেশের আকাশে মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৭ জুলাই বুধবার আশুরা উদযাপিত হবে। গতকাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামীকাল মহররম মাস গণনা শুরু হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আউয়াল হাওলাদার।

আশুরা অর্থ ১০ মহররম। ইসলামী পরিভাষায় মহররম মাসের ১০ তারিখকে আশুরা নামে অভিহিত করা হয়। সৃষ্টির আদি থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে আশুরার তাৎপর্য স্বীকৃত। হিজরি সনের প্রবর্তন মহররম মাসকে আরো বেশি স্মরণীয় করেছে। কারবালার হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা আশুরা ও মহররমের ইতিহাসে নবচেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে এবং মহররম ও আশুরাকে আরো বেশি মহিমান্বিত ও অবিস্মরণীয় করে রেখেছে। 

আশুরার উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলির মধ্যে রয়েছে হজরত আদমের (আ.) সৃষ্টি, স্থিতি, উত্থান ও পৃথিবীতে অবতরণ ইত্যাদি। হজরত নূহর (আ.) নৌযানের যাত্রারম্ভ এবং বন্যা অবস্থার সমাপ্তি ছিল আশুরাকেন্দ্রিক।

হজরত ইব্রাহিমের (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া, হজরত ইউনুছের (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্ত হওয়া, হজরত দাউদের (আ.) জালুত বাহিনীর ওপর বিজয় লাভ করা, হজরত ঈসাকে (আ.) আসমানে তুলে নেয়াসহ বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী আশুরা। 

আশুরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো রোজা পালন করা। প্রিয় নবী (সা.) মক্কায় থাকতে আশুরার রোজা পালন করতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে দেখতে পেলেন ইহুদিরাও এদিনে রোজা রাখছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) জানতে পারলেন, এদিনে মুসা (আ.) সিনাই পর্বতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভ করেন। এদিনই তিনি বনি ইসরায়েলকে ফেরাউনের কয়েদখানা থেকে উদ্ধার করেন এবং এদিনই তিনি বনি ইসরায়েলদের নিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করেন। আর ফেরাউন সেই সাগরে ডুবে মারা যান। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ইহুদিরা এদিন রোজা রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন