উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে বেতন বাড়িয়ে শ্রম অসন্তোষের সমাধান কতটুকু সম্ভব?

বদরুল আলম

ছবি : বণিক বার্তা

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন বিলকিস বেগম। বছর পাঁচেক আগে শুরুটা হয়েছিল হেলপার হিসেবে। বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা। তারপর ধীরে ধীরে পদোন্নতি পেয়ে হন অপারেটর। এখন বেতন ১২ হাজার টাকা। নিরাপত্তাকর্মী স্বামীর আয়ও প্রায় সমান। সব দিয়েও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। মোট বেতনের প্রায় অর্ধেকই চলে যায় বাসা ভাড়ায়। তার ওপর আছে তিন ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ বাজারে পাতে মাছ-মাংস ওঠে না বললেই চলে। তাই বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে সম্প্রতি আন্দোলনে নেমেছিলেন বিলকিসদেরসহ আশপাশের সব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে আবারো কাজে ফিরেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রমিকের মজুরি প্রবৃদ্ধি দেশের মূল্যস্ফীতি হারের অনেক নিচে। বেতন কম—শ্রমিকদের এ দাবি মেনে নিয়ে তা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ব্যক্তি খাতের শিল্প মালিকরা। তবে শ্রম অসন্তোষের বর্তমান প্রেক্ষাপট মোকাবেলা কেবল বেতন বাড়িয়ে সম্ভব কিনা, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কেননা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দিন দিনই বাড়ছে মানুষের ব্যয়।  

দেশে গত সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অথচ ওই মাসে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির গড় হার ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। কেবল সেপ্টেম্বরই নয়, টানা ৩২ মাস ধরেই মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির অনেক নিচে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায়ই সার্বিক মূল্যস্ফীতিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের শ্রমজীবী মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য গ্রহণ এবং চাহিদা ছেঁটে জীবনযাপনের ব্যয় সংকুলান করছে। 

শ্রমিক প্রতিনিধিরা বলছেন, তারা আন্দোলন করছেন কারণ এ দ্রব্যমূল্যের বাজারে তারা চলতে পারছেন না। এক্ষেত্রে সরকারকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রেশনিংয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগেও নানা সময়ে রেশনিং নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। 

শিল্পসংশ্লিষ্টদেরও দাবি, শ্রমিক আন্দোলন হলে সবসময়ই মালিকদের দোষ দেয়া হয়, নানা ষড়যন্ত্রের বিষয় সামনে আনা হয়। আদতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিই শ্রমিকদের আন্দোলনকে বেশি ট্রিগার করছে। শ্রমিকরা খাদ্য গ্রহণে চাল ও সবজি বেশি ব্যবহার করছেন। এ দুই পণ্যেরই মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও নিম্ন মজুরির হার, এর তারতম্যটা বড় বিষয়। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপই বেশি প্রয়োজন। সরকারিভাবে যদি রেশনিং চালু না করা যায় অথবা মূল্যস্ফীতিকে যদি নামিয়ে না আনা যায় মালিকরা শুধু বেতন বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না।

জানা গেছে, মূল্যস্ফীতির চাপ অনুধাবন করে বেসরকারি খাতের মালিকদের অনেকেই নিজস্ব শ্রমিকদের জন্য ফেয়ার প্রাইস শপের মতো ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। এ ধরনের পরোক্ষ ব্যবস্থাও সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, মালিকদের মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধিও কোনো সমাধান নয়। কারণ বেতন বৃদ্ধির এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতিকে আরো ঊর্ধ্বমুখী করে তুলতে পারে। কাজেই মোটা দাগে মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় না নিতে পারলে অসন্তোষকে বশে আনা কঠিন হয়ে পড়বে। মজুরি বাড়ানো অবশ্যই দরকার, কিন্তু তার পরও উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে শ্রমিকদের অসন্তোষ কমা নিয়ে সংশয় রয়েই যাবে। তাই শ্রম অসন্তোষ কমাতে হলে হ্রাস করতে হবে মূল্যস্ফীতি।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু বেতন বাড়িয়ে শ্রমিকদের অসন্তোষ পুরোপুরি নিরসন সম্ভব বলে আমি মনে করি না। কারণ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকলে, এখন বেতন বৃদ্ধি করা হলেও ছয় মাস পর সে বেতন অপর্যাপ্তই থেকে যাবে, যা জীবনযাত্রার মানে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে না। ফলে শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। অবশ্যই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আর তা শুধু শ্রমিকদের জন্য নয়, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্যই নিশ্চিত করতে হবে।’ 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ওই অর্থবছর মজুরি বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। পরের অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হয়। আর মজুরি বৃদ্ধির হার কমে হয় ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির গড় ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল আরো বেশি, ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়েনি শ্রমজীবীদের মজুরি। গত অর্থবছরে সাধারণ মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। সে হিসাবে মূল্যস্ফীতির তুলনায় তা কম ছিল ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ হলেও মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুটো বিষয়ে সরকারের জোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত, একটা হচ্ছে রেশনিং, আরেকটা দ্রব্যমূল্য কমানো। এগুলো করতে পারলে যতই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সামনে আসুক, সেগুলো দিয়ে কোনো কাজ হবে না। আমি মনে করি এগুলো ঠিকমতো করতে পারলে তা শ্রমিকদের অসহিষ্ণুতার ওপরও বড় প্রভাব রাখতে পারত। শ্রমিকদের অসন্তোষ যেটা আছে সেটা সহনীয় মাত্রায় থাকত।’

তিনি আরো বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা চাই এবং বলেছিও যে ঢাকা থেকে শুরু করে দেশব্যাপী এবং প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকরাও এটা চাইছে। এখন রেশনিং যদি হয় তাহলে কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে। অনতিবিলম্বে এ ব্যবস্থা করা হোক। এতে তাদের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপটা কিছুটা সহনীয় হবে।’ 

দুই মাস হয়ে যাচ্ছে এ সরকারের, বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। পেঁয়াজ ১৪০ টাকা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখছি দ্রব্যমূল্যের এ অবস্থা, যা আবার বাড়ন্ত। এতে মানুষ অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এটা রীতিমতো ভীতিকর যে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এটা এ মুহূর্তে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা। এতে আরো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হতে পারে বলে আমাদের মনে হয়। 

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলছেন আগের চেয়ে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের পরিবেশ নিয়ে আমরা আশাবাদী। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়াসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরো অনেক ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে, যা বিগত দিনগুলোয় দেখা যায়নি। 

তাসলিমা আখতার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এক্ষেত্রে ট্রিগার পয়েন্ট। কিন্তু একমাত্র এটার কারণে আন্দোলন এতদিন ধরে অব্যাহত আছে এমন ধারণা পূর্ণাঙ্গ কিনা সেটা মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। মূল্যস্ফীতি ট্রিগার পয়েন্ট হলেও এটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে।’

সম্প্রতি সব পক্ষের মেনে নেয়া শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবির মধ্যে ছিল, মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনপূর্বক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ। যেসব কারখানায় ২০২৩ সালে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। কোনো শ্রমিকের চাকরি পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে/চাকরিচ্যুত হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ প্রদান করতে হবে, এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্যান্য ধারা সংশোধন করতে হবে। সব ধরনের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

হাজিরা বোনাস (২২৫ টাকা), টিফিন বিল (৫০ টাকা), নাইট বিল (১০০ টাকা) সব কারখানায় সমান হারে বাড়াতে হবে। সব কারখানায় প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বেতনের বিপরীতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ন্যূনতম ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বিজিএমইএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করা যাবে না, বায়োমেট্রিক তালিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সকল প্রকার হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করতে হবে।

কলকারখানায় বৈষম্যহীন নিয়োগ প্রদান করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে তদন্তান্তে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে। অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করতে হবে।

সরকারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি দীর্ঘ সময় ধরে সুরাহা না হওয়া একটা বিষয়। আর এটা শুধু পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বিষয় না, আপামর জনসাধারণ বেশি দাম দিয়ে কিনছে। এ ইস্যু বিগত সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলেই আন্দোলনের জোটবদ্ধতা বেড়েছে। আন্দোলনের বড় অংশ ছিল দ্রব্যমূল্যের প্রভাবে সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব। এটা শ্রমজীবী থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ রাস্তায় নামার পেছনে বড় প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে। এখন যে শ্রম অসন্তোষের গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে, তাতে অনুধাবন করা যায় যে মূল্যস্ফীতি ছাড়াও আনুষঙ্গিক ডাইনামিকস আছে। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি করা প্রতিটি বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে টিসিবির পণ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ লাখ শ্রমিককে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। এ কর্মসূচি ১ তারিখে উদ্বোধন করার কথা ছিল। ১৮ দফা মেনে নেয়ার পর যখন অসন্তোষ শুরু হলো উদ্বোধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। অন্য কাজে শ্রম ভবনে গিয়েছি, সারা দিনের পর সেখানে রাত পর্যন্ত আমাকে আটকে রাখা হয়েছে। শ্রম সচিবকে আটকে রেখে সমাধান হবে? আমাদের কেউ কাজ করতে দিচ্ছে না। শ্রম ভবন যারা ঘেরাও করছেন দেখা যাচ্ছে দেড় থেকে তিন বছর ধরে তারা কোনো বেতন পায়নি। কারণ বন্ধ হয়েছে তিন বছর আগে। সেই দাবি নিয়ে এখন শ্রম ভবন ঘেরাও হচ্ছে, ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে দেয়া হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্ধ কারখানাগুলোকে সাপোর্ট দেয়া হবে। এর পরও কি শ্রমিকরা কাজে ফিরবে? এখানে অনেক ডাইমেনশন আছে। শ্রমিকরাও সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ না। সমস্যা আছে, কিন্তু তাদের অধিকারগুলো কি রাতারাতি ঠিক করে দেয়া যাবে? সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সমস্যাগুলোর সমাধান রাতারাতি হবে না।’

মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরাও নাম প্রকাশ করে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ১৮ দফা দাবি মানার পরও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, কারণ অসন্তোষের মধ্যে এখন রাজনীতি প্রবেশ করেছে। আর এর প্রকৃতিও এমন যে তাতে সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া এ মুহূর্তে তাৎক্ষণিক সমাধানের কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে সমস্যার টেকসই সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করছি আমরা সফল হতে পারব।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন