সিল্করুট

লবণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন বড় ব্যবসায়ীরা

নিজাম আশ শামস

লবণ বহন করছে উটের পাল

তাকে বলা হতো ‘হাটখোলার কর্তাবাবু’। লবণের নিলামে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে নিলাম স্থগিত থাকত। ১৭৯০-এর দশকের শুরুর দিকে প্রধান লবণ ক্রেতাদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তালিকার দ্বিতীয় নামটি ছিল তার। কিশেনচন্দ্র পাল চৌধুরী ওরফে কিশেন পান্তি। প্রথম নামটি একজন গ্রিক ব্যবসায়ীর। মাভরোদি কিরিয়াকোস। সে হিসেবে বাঙালি লবণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিশেন পান্তি ছিলেন শীর্ষে। ১৭৯০ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এবং ১৭৯২ সালের জুলাইয়ে হওয়া লবণের নিলামে তার কেনা লবণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার মণ। তালিকায় ঠাঁই পাওয়া অন্যান্য লবণ ব্যবসায়ী হলেন ঠাকুরদাস নন্দী, রামহরি খান, রামকানাই প্রামাণিক, মদনগোপাল বসু ও শম্ভু হালদার, সার্থক শোই, শম্ভুনাথ পাল, অভয়চরণ চাঁদ, গুরুপ্রসাদ সেন, শ্যামচাঁদ সরকার, জগন্নাথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ পোদ্দার। তিনটি নিলামে লবণ বিক্রির মোট পরিমাণ ছিল ২৮ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯ মণ। তার মধ্যে এ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা কিনেছিলেন ১২ লাখ ১ হাজার ৮১৯ মণ, যা মোট বিক্রির ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ।

১৭৭০-এর দশক থেকে বাংলা ও বিহারের লবণ ব্যবসা ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। লবণের উচ্চমূল্য ধরে রাখা ছিল তাদের নীতি। তাই তারা লবণের যাবতীয় সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করত। সব লবণ নিলামে বিক্রি করা হতো। কেবল কলকাতায় অল্পসংখ্যক নিলামের আয়োজন করা হতো। সব পাইকারি ব্যবসায়ী সেসব নিলামে অংশগ্রহণ করতেন।  নিলামে লবণ কেনার পর ‘সল্ট ডিপার্টমেন্ট’ থেকে তাদের এক প্রস্ত রসিদ দেয়া হতো। এগুলো ছিল ছাড়পত্র। কোম্পানির গুদামে এসব ছাড়পত্র দেখিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিলামে কেনা লবণ সংগ্রহ করতেন। লবণ নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন চৌকিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো। এগুলো ‘লবণ চৌকি’ নামে পরিচিত ছিল। সেখানে ব্যবসায়ীরা দাপ্তরিক নথি দেখাতেন। এ ধরনের নথিকে বলা হতো ‘রওয়ানা’। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোম্পানির গুদাম থেকে লবণ সংগ্রহ করে নিজেদের গুদামে সংরক্ষণ করতেন। তারপর তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সারা বাংলার বাজারগুলোতে লবণ পৌঁছে যেত। এ ব্যবস্থার কারণে বড় লবণ ক্রেতাদের একটি দলের উদ্ভব ঘটেছিল। তারা নিলামে লবণ কিনতেন এবং বাজারে এর দাম নিয়ন্ত্রণ করতেন। কোম্পানি ও বড় ব্যবসায়ীদের এ মেলবন্ধনের ফলে বাজারে লবণের দাম চড়া থাকত। তাদের লাভও হতো বিপুল। ঔপনিবেশিক শাসনের প্রথম দশকগুলোতে অনেক বাঙালি ‘ভদ্রলোক’ পরিবার বিভিন্নভাবে লবণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে কাশিমবাজারের নন্দী, ঠাকুর, ঘোষাল, বউবাজারের মতিলাল, বাগবাজারের মিত্র ও বড়বাজারের মল্লিক পরিবারের নাম উল্লেখযোগ্য। এসব পরিবার কলকাতায় স্থায়ী হয়ে লবণ ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করেছিল। পর্যায়ক্রমে তারা জমিদার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সেই সময়’ উপন্যাসে এসব পরিবারের চমৎকার বর্ণনা আছে। পরিবারগুলোর মধ্যে রানাঘাটের পাল চৌধুরী, ফরিদপুরের সাহা ও বালিয়াটির সাহা পরিবার লবণ ব্যবসায় বিশেষ স্থান অধিকার করেছিল। লবণ ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই ছিলেন নব্য ধনী বাঙালি হিন্দু। তারা তিলি, সাহা, বসাক ইত্যাদি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

পাল চৌধুরী পরিবার ছিল তিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ কিশেনচন্দ্র পাল। আদিতে পাল চৌধুরী পরিবারের পানের ব্যবসা ছিল। তাই সদস্যদের নামের সঙ্গে ‘পান্তি’ উপাধি জুড়ে গিয়েছিল। আর ‘চৌধুরী’ উপাধিটি তারা পেয়েছিলেন নদীয়ার মহারাজা শিবচন্দ্রের কাছ থেকে। তিনি কিশেনচন্দ্রকে এ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। পারিবারিক মূল পদবি পাল। তার সঙ্গে কিশেনচন্দ্র চৌধুরীও যুক্ত করে নেন। সেই থেকে পরিবারটি ‘পাল চৌধুরী পরিবার’ হিসেবে বিখ্যাত। সারা বাংলায় তাদের লবণ বাণিজ্য বিস্তৃত ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, ভগবানগোলা, হাঁসখালি, কাঞ্চননগর, ভদ্রেশ্বর, কালনা সুখসাগরে তাদের লবণের গুদাম ছিল। লবণ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও রসুলপুরেও তারা গুদাম স্থাপন করেছিলেন। তারা সাধারণত মেদিনীপুর জেলায় উৎপন্ন লবণের ব্যবসা করতেন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে তাদের প্রভাব পূর্ববঙ্গেও বিস্তৃত হয়েছিল। তখন পূর্ববঙ্গে লবণের সবচেয়ে বড় বাজার ছিল নারায়ণগঞ্জ। ১৮১০-এর দশকে প্রকাশিত নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ লবণ ব্যবসায়ীদের এক তালিকায় পরিবারটির নাম আছে। সিরাজগঞ্জে তাদের কয়েকটি লবণের গুদাম ছিল। পাল চৌধুরী পরিবার শস্য, চিনি, ঘি ও কাপড়ের ব্যবসাও করত। পর্যায়ক্রমে তারা নীল উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। বন্ধকির বিনিময়ে রাজা ও জমিদারদের নগদ অর্থ ধার দিত পাল চৌধুরী পরিবার। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হলো। কিশেনচন্দ্র ও তার ভাই শম্ভুচন্দ্র তাদের বাণিজ্য প্রসারের অংশ হিসেবে নদীয়া ও যশোর জেলায় প্রচুর তালুক কিনে নেন। কয়েকটি তালুকে ‘সল্ট প্যান’ও ছিল। সেগুলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে ইজারা দেয়া ছিল। এভাবে পাল চৌধুরীরা জমিদার হিসেবে খ্যাতিমান হন। দুই ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে এ পরিবারের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। ১৮০৭ সালে শম্ভুচন্দ্র পরলোকগত হন। কিশেনচন্দ্র মারা যান ১৮০৯ সালে। তার পর থেকে পাল চৌধুরী পরিবারের ব্যবসায় নানা সমস্যা হতে থাকে। দুই ভাইয়ের সন্তানদের মধ্যে ব্যবসা ভাগ হয়ে যায়। কিশেনচন্দ্রের চার ছেলে। প্রেমচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র, উমেশচন্দ্র ও রতনচন্দ্র। প্রথমে তারা যৌথ ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৮২১ সালে জমিদারি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যান। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। একদিকে প্রেমচন্দ্র ও ঈশ্বরচন্দ্র। অন্যপক্ষে উমেশচন্দ্র ও রতনচন্দ্র। তাদের মধ্যে ব্যবসা ভাগ হয়ে গিয়েছিল। রতনচন্দ্রের মৃত্যুর পর উমেশচন্দ্র এককভাবে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। শম্ভুচন্দ্রের দুই ছেলেও ১৮১৩ সাল থেকে আলাদা ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্যেও সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। পাল চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের এসব মামলা কয়েক দশক ধরে চলেছিল। তার সঙ্গে কমেছিল ব্যবসার পরিধি। অবশেষে ১৮৪০-এর দশকের শেষ দিকে পাল চৌধুরী পরিবারের ব্যবসার পতন ঘটে।

কলকাতার লবণ নিলামকারী শীর্ষ ব্যবসায়ীদের দুটি শ্রেণী ছিল। কলকাতার স্থায়ী ও মফস্বলের বাসিন্দা। পাল চৌধুরীরা প্রথমে মফস্বলী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তারা কলকাতায় থিতু হয়েছিলেন। মফস্বলের লবণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফরিদপুর ও বালিয়াটির সাহা পরিবারের নিলামে অংশগ্রহণের মতো যথেষ্ট আর্থিক সংগতি ছিল। ফরিদপুরের সাহা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কংসাইরাম সাহা। আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় শস্য ও লোহার ব্যবসার মাধ্যমে তার উত্থান। ১৭৬৮ সালের দিকে তার তিন ছেলে পৈতৃক ব্যবসার হাল ধরেন। তাদের মাধ্যমেই পরিবারটিতে লবণের ব্যবসা শুরু হয়েছিল। বড় ভাই মানিকচাঁদ নিলামের নিয়মিত ক্রেতা ছিলেন। এ পরিবার প্রধানত চব্বিশ পরগনা ও যশোরে উৎপন্ন লবণের ব্যবসা করত। ১৭৯০-এর দশকের শুরুর দিকের নিলামগুলোতে মানিকচাঁদের কেনা লবণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার মণ। সিরাজগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ (রংপুর জেলা) ও রানীগঞ্জসহ (দিনাজপুর জেলা) উত্তরবঙ্গের সব বড় লবণের বাজারে ফরিদপুরের সাহা পরিবারের গুদাম ছিল। কলকাতায়ও তাদের লবণের গুদাম ও শাখা ছিল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তারা অনেক লাখেরাজ জমি কিনেছিলেন।

বালিয়াটির সাহা পরিবার মূলত নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে উৎপন্ন লবণের ব্যবসা করত। এ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোবিন্দরাম সাহা। তিনি আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ের একজন বিখ্যাত লবণ ব্যবসায়ী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বড় জমিদার হয়েছিলেন। ১৮৪০-এর দশকের গোড়ার দিকে পূর্ববঙ্গের প্রধান লবণ ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সে তালিকায় অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার হিসেবে বালিয়াটির সাহা ও ভাগ্যকুলের কুণ্ডুদের নাম জায়গা করে নিয়েছিল। পূর্ববঙ্গের নারায়ণগঞ্জ, নলছিটি, লৌহজং ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাজারে তাদের লবণের গুদাম ছিল। লবণ ব্যবসার পাশাপাশি কুণ্ডু পরিবারের ব্যাংকিং, চাল ও পাটের ব্যবসাও ছিল। তাদের বহু পাট ও সুতার কারখানা ছিল। ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা চালু করেছিল ভাগ্যকুলের কুণ্ডু পরিবার। বালিয়াটির সাহারা পরবর্তী সময়ে ‘রায়চৌধুরী’ উপাধি পেয়েছিলেন। ১৮৪০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তাদের লবণ ব্যবসা রমরমা ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা জমিদারিতেই পূর্ণ মনোযোগী হয়েছিলেন। তারা পূর্ববঙ্গে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বালিয়াটির অন্যতম জমিদার কিশোরী রায়চৌধুরী ছিলেন ঢাকার জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠাতা। পিতার নামানুসারে তিনি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলায় অনেক বিদ্যালয় ও দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেছিলেন। ঢাকার লবণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন জগন্নাথ পোদ্দার। তিনি নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে উৎপন্ন লবণের ব্যবসা করতেন। ১৭৯০ সালের নিলামগুলোয় তার কেনা লবণের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার মণ।

বড় লবণ ব্যবসায়ীরা তাদের হেড অফিস, শাখা অফিস ও গুদামের তত্ত্বাবধানের জন্য গোমস্তা নিয়োগ করতেন। ব্যবসার সব খুঁটিনাটি ছিল তাদের নখদর্পণে। সাধারণত গোমস্তা হিসেবে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়া হতো। তাই সংশ্লিষ্ট বাজার সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা থাকত।

লবণ ব্যবসায় কেবল বাঙালিদের নয়, ভাগ্য ফিরেছিল ইংরেজ বণিকদেরও। তেমনই একজন অ্যানসেল্ম ব্যুমোন্ট। ১৭৫৩ সালে ৩৮ বছর বয়সে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০০ পাউন্ড। কিন্তু ১৭৬৫ সালে তিনি যখন ইংল্যান্ডে ফিরে যান, ততদিনে তার সম্পদের পরিমাণ ৭০ হাজার পাউন্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে লবণ সরবরাহ করতেন। প্রতি বছর তিনি অন্তত ১০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করতেন। এ থেকে তার বার্ষিক মুনাফা হতো ১০ হাজার পাউন্ড। তার একক ব্যবসা ছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবেও তিনি কিছু ব্যবসা করতেন।

কলকাতার লবণের নিলামে দুই শ্রেণীর ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করতেন। প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সরাসরি লবণের ব্যবসা করতেন না। তারা কেবল নিলামে টাকা লগ্নি করতেন। তারা সাধারণত মফস্বলের লবণ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে নিলামে অংশগ্রহণ করতেন। এরা ছিলেন উচ্চবর্ণের হিন্দু। সুবর্ণবণিক, ব্রাহ্মণ কিংবা ক্ষত্রিয়। অন্যদিকে লবণের আসল কারবারিরা প্রায় সবাই ছিলেন তথাকথিত নিম্নবর্ণের হিন্দু। তবে লবণের প্রতি তাদের ছিল সমান আকর্ষণ। লবণ নিজ গুণে বর্ণবৈষম্য ঘুচিয়ে দিতে পেরেছিল। বিভিন্ন বর্ণের মানুষকে দাঁড় করাতে পেরেছিল এক কাতারে।

নিজাম আশ শামস: লেখক ও অনুবাদক