সিল্করুট

চাচনামা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক

নিজাম আশ শামস

সিন্ধে মুহাম্মদ বিন কাসিমের মুদ্রা

নিৎসে লিখেছেন, ইতিহাস মূলত সক্রিয় ক্ষমতাবানদের দখলে। যারা বড় বড় যুদ্ধ করেন। যাদের আদর্শ ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক সান্ত্বনাদাতা প্রয়োজন। অথচ সমসাময়িকদের মাঝে তেমন কাউকে তারা খুঁজে পান না। নিৎসে মতে, ইতিহাস কেমন হবে তা রচয়িতার বিবেচনার ওপর নির্ভর করে। কারণ ইতিহাসে কী থাকবে সে সিদ্ধান্ত লেখকই নিয়ে থাকেন। ভারতবর্ষের অতীত খনন করতে গিয়ে ঔপনিবেশিক আমলের ঐতিহাসিকরা উপমহাদেশের একটি ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভারতকে নিয়ে ব্রিটিশদের ভাবনার সঙ্গে তার বেশ মিল ছিল। সে ইতিহাস রচনায় তারা অনেক বইয়ের সহায়তা নিয়েছেন। তেমনই একটি বইয়ের নাম চাচনামা এটি তেরো শতকে ফার্সি ভাষায় রচিত। ঔপনিবেশিক আমলে ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বইটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। চাচনামা একটি বিজয় প্রশস্তি। উমাইয়াদের সিন্ধু বিজয়ের কাহিনী এতে বর্ণিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামের আগমনকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

৭১২ খ্রিস্টাব্দে আরবরা সিন্ধু প্রদেশে অভিযান চালায়। এর নেতৃত্বে ছিলেন উমাইয়া সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম। সেই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামের আগমন। ইংরেজ ঐতিহাসিক এসএইচ ইলিয়ট তার দি হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া, অ্যাজ টোল্ড বাই ইটস ঔন হিস্ট্রিয়ানস: দি মোহামেডান পিরিয়ড বইয়ে বর্ণনা করেছেন যে সিন্ধুতে আরবদের শাসন ছিল সাময়িক। তিনি লেখেন, এটি ছিল ভারতে মুসলিম শাসনের পূর্বাভাস, সূচনা নয়। আরবরা ফিরে যাওয়ার পর স্থানীয় রাজারা সিন্ধু প্রদেশের শাসনভার দখল করেন। গজনীর মাহমুদের আক্রমণ সত্ত্বেও ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দে আকবরের রাজত্বকালে মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সিন্ধু কার্যত স্বাধীন ছিল। তথাপি, উমাইয়াদের অভিযান এখনো দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানদের আগমনের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করে দেয়। আরব সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিমকে পাকিস্তানে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। অন্যদিকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকরা ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের কাছ থেকে সূত্র নেন। সিন্ধু বিজয়কে কেন্দ্র করে তাদের রচনায় সেসব ঐতিহাসিক মুসলমানদের নির্বিচারে বর্বর বিদেশী আক্রমণকারী হিসেবে চিত্রিত করেছেন।

সিন্ধু বিজয় সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো চাচনামা আগেই বলা হয়েছে, এটি তেরো শতকে ফার্সি ভাষায় রচিত। তবে তার আগে সিন্ধু বিজয় নিয়ে আরেকটি বইয়ের খবর পাওয়া যায়। নয় শতকে আরবি ভাষায় রচিত ফুতুহ আল বুলদান এর রচয়িতা আল বিলাদুরি। ফুতুহ আল বুলদান-এর একটি অধ্যায়ে তিনি সিন্ধু বিজয়ের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তবে চাচনামা বিষয়ে আরো বিস্তারিত বর্ণনা আছে। চাচনামা রচয়িতা মুহাম্মদ আলী বিন হারাইদ বিন আবু বকর কুফি। আলী কুফি নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। তিনি চাচনামাকে অনেক আগের একটি আরবি পাণ্ডুলিপির অনুবাদ হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন। আলী কুফি জানান, পাণ্ডুলিপিটি আলোর-এর কাজী ইসমাঈল বিন আলী বিন মুহাম্মদ বিন উসমান আল সাকাফির কাছে সংরক্ষিত ছিল। উল্লেখ্য, মধ্যযুগে সিন্ধু প্রদেশের একটি শহরের নাম ছিল আলোর। আলোরের কাজী নিজেকে আরবের সাকিফ গোত্রের বংশধর দাবি করতেন। উমাইয়া সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিমও একই গোত্রভুক্ত ছিলেন। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

চাচনামা রচনার সময়কাল নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। ইলিয়ট ডাউসনের মতে, চাচনামা যতটা না ইতিহাস, তার বেশি রোমান্স তারা আরো লিখেছেন, তবে কোনো সন্দেহ নেই যে এটি সিন্ধু বিজয়ের অনতিকাল পরেই লেখা একটি নিখাদ আরবি ইতিহাস বইয়ের অনুবাদ। ঐতিহাসিক গ্যাব্রিয়েল মুহাম্মদ বিন কাসিম আল-সাকাফি অ্যান্ড অ্যারাব কনকুয়েস্ট অব সিন্ধ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি চাচনামা মৌলিকত্বকে সম্পূর্ণ খারিজ করেছেন।

সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের মতে, আরবদের সিন্ধু বিজয়ের প্রেক্ষাপটে চাচনামা ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতা নেই বললেই চলে। তাদের দাবি, এটি অজ্ঞাতনামা একজন আরব লেখক রচিত মৌলিক বইটির অনুবাদ নয়। এটি কাল্পনিক উপাদানসংবলিত একটি রোমান্টিক কাজ। তেরো শতকের ভারতের ইতিহাস প্রাকৃতিক দৃশ্যকে আধেয় করে চাচনামা রচিত হয়েছে। তাদের দাবির পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। আলী কুফি রচিত চাচনামা অনেক অসংগতি বিচ্যুতি আছে। তাছাড়া ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বর্ণনার ক্ষেত্রে সঠিক ধারাক্রম অনুসরণ করা হয়নি। তেরো শতকে সিন্ধি সমাজে প্রচলিত লোকজ উপাদান বইটিতে উপস্থাপিত হয়েছে। পাশাপাশি চাচনামা সমসাময়িক বহু বানোয়াট কাহিনীর সন্নিবেশ ঘটেছে। এসব কারণে বইটি রচনার সময়কাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে ব্যাপক বিতর্ক আছে। পাশাপাশি এসব কারণে চাচনামা ঐতিহাসিক গুরুত্বও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

তবে যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি অসংগতি সত্ত্বেও ভারতে ইসলামের সূচনা সম্পর্কে আলোচনায় চাচনামা মুখ্য অবস্থানে আছে। মাসুম ফিরিশতার মতো অঞ্চলের মুসলিম ঐতিহাসিকরা ভারতে ইসলামের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে চাচনামা প্রতি ঋণ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। মুসলিম ঐতিহাসিকরা তাদের পূর্বপুরুষ কর্তৃক সিন্ধু আক্রমণকে বৈধতা দেয়ার সচেতন প্রয়াস চালিয়েছেন। বিপরীতে মুসলমানদের সিন্ধু বিজয়ের আগে শাসনকারী স্থানীয় রাজাদের তারা অবৈধ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। আরব মুসলমানদের সিন্ধু বিজয়ের মাহাত্ম্য বয়ান করতে গিয়ে তারা লেখেন, এর মাধ্যমে মূর্তিপূজারি অত্যাচারীদের শাসনের অবসান হলো। তবে ব্রিটিশ ঐতিহাসিকরা চাচনামাকে সম্পূর্ণ বিপরীত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। আলী কুফির রচনাটি দিয়ে তারা পূর্ববর্তী মুসলিম শাসকদের অবৈধ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। তারা মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনাকে সম্পূর্ণ উল্টে দিয়েছেন। ব্রিটিশ ঐতিহাসিকরা চাচনামাকে ভারতবর্ষে মুসলমানদের বর্বর আক্রমণের একটি দলিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রসঙ্গে মুহাম্মদ আহমেদ আসিফ বুক অব কনকুয়েস্ট: দি চাচনামা অ্যান্ড মুসলিম অরিজিনস ইন সাউথ এশিয়া নামে একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি সিন্ধু বিজয়ের ব্যাপারে ঔপনিবেশিক আমলের ঐতিহাসিকদের ভুল ব্যাখ্যার ওপর আলোকপাত করেছেন। তার মতে, ভুল ব্যাখ্যা ভারতীয় সমাজকে বিভক্ত করে রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামের আগমন-সম্পর্কিত প্রতিটি বর্ণনায় আলী কুফি রচিত চাচনামা সূত্র ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা যে মূলত বিদেশী, ধরনের মিথকে স্থায়িত্ব দেয়ার জন্য ঔপনিবেশিক আমলের ঐতিহাসিকরা হিন্দুত্ববাদীরা বইটিকে সমানে ব্যবহার করেছেন।

আলী কুফির চাচনামা সমজাতীয় বই হিসেবে আল বিলাদুরির ফুতুহ আল বুলদানকে ধরা হয়। চাচনামাকে বাদ দিলে এটিই সম্ভবত একমাত্র ইতিহাস বই, যেখানে উমাইয়াদের সিন্ধু বিজয়ের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। ফুতুহ আল বুলদান- সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, মিসর, পারস্য, আর্মেনিয়া, ট্রান্সঅক্সিয়ানা, আফ্রিকা, স্পেন সিন্ধুতে আরবদের প্রথম অভিযানের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তবে আল বিলাদুরি কখনই সিন্ধু প্রদেশে আসেননি। এক্ষেত্রে তিনি অপরাপর ঐতিহাসিক কাহিনীকারদের দেয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করেছেন। আল বিলাদুরি তার ব্যবহূত তথ্যের অন্যতম উৎস হিসেবে সমসাময়িক আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মদ আল মালদানির নাম উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া তিনি আল মুগাজিয়াউস সিয়ার নামক একজন ঐতিহাসিক রচিত খোরাসান সিন্ধুতে আরবদের বিজয় অভিযানের বিস্তারিত বিবরণসংবলিত একটি বই থেকেও তথ্য নিয়েছেন। আল বিলাদুরি কর্তৃক উদ্ধৃত অন্যান্য ঐতিহাসিকদের মধ্যে আছেন মনসুর বিন হাতিম ইবনুল কালবি।

আল বিলাদুরির ফুতুহ আল বুলদান-এর সঙ্গে আলী কুফির চাচনামা বেশ মিল আছে। বিভিন্ন ধরনের শব্দবন্ধ বাক্যের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলী কুফি আল বিলাদুরিকে অনুকরণ করেছেন। তবে আলী কুফি চাচনামা অতীত কিংবা সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের নাম খুব কমই ব্যবহার করেছেন। তিনি সিন্ধু বিজয়ের ঘটনাকে রোমান্স হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে, আল বিলাদুরি তার রচনাকে ঐতিহাসিক বৈধতা দেয়ার জন্য তথ্যসূত্রে প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিকদের নাম উল্লেখ করেছেন। আল বিলাদুরি তার রচনায় কেবল সিন্ধু বিজয়ের ধারাবাহিক ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। সেখানে কোনো লোককাহিনী বা মহাকাব্যিক উপাদানের ঠাঁই হয়নি। ফলে তার বর্ণনাটি যথার্থ ইতিহাসের মর্যাদা পেয়েছে।

চাচনামা নিয়ে আরেকটি কৌতুহলোদ্দীপক বিতর্ক আছে। বিতর্কের কেন্দ্রে আছে মুসলমানদের দুটি সম্প্রদায়সুন্নি শিয়া। ভারতীয় গবেষক প্রিয়াংকা চৌধুরী সারা রাঠোর তাদের Chachnama Discourse: The Dichotomy of Islamic Origins in South Asia প্রবন্ধে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের মতে চাচনামা থেকে এটি প্রমাণিত হয় যে দক্ষিণ এশিয়ায় আগমনকারী প্রথম মুসলমানরা ছিলেন সুন্নি। তবে বিভিন্ন মিথ কিংবদন্তি থেকে শিয়ারা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে তারাই প্রথম মুসলমান হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় এসেছিলেন। তাদের দাবি, অঞ্চলে শিয়াদের আগমনের নানা ইতিহাস হজরত আলীর (রা.) অনুসারীরা লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এসব নথি উমাইয়া শাসনামলে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। তবে চাচনামা থেকেও শিয়ারা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় আগমনকারী প্রথম মুসলিম তারাই। চাচনামা দি হিস্ট্রি অব রাইটলি গাইডেড নামে একটি অধ্যায় আছে। সেখানে খোলাফায়ে রাশিদুনের সঙ্গে হিন্দুস্তানের যোগাযোগের বিভিন্ন বর্ণনা আছে। তেমনই একটি বর্ণনা অনুসারে, খলিফা হজরত উসমানের (রা.) সময়ে হজরত আল হাকিম ইবনে জাবালাহ আল-আবদি নামে একজন সাহাবি সিন্ধু প্রদেশে এসে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তিনি হজরত আলীর একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। হজরত আলী খলিফা হলে তিনি পুনরায় মদিনায় ফিরে যান। প্রথম ফিতনার সময় (৬৫৬-৬৬১ খ্রিস্টাব্দ) তিনি হজরত আলীর পক্ষাবলম্বন করেন। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত উষ্ট্রের যুদ্ধে তিনি শাহাদত বরণ করেন। উষ্ট্রের যুদ্ধের বর্ণনায় ঐতিহাসিক ফিরিশতা হজরত আলীর (রা.) সেনাবাহিনীতে জাঠ সৈন্যদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। হজরত আবদির সিন্ধুতে অবস্থানকালীন এসব ভারতীয় তার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।

দ্বিতীয় ফিতনার সময় (৬৮০-৬৯২ খ্রিস্টাব্দ) উমাইয়াদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে হজরত আলীর বংশধর অনুসারীরা সিন্ধু প্রদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন। বলা হয়ে থাকে যে জায়েদি শিয়াদের অন্যতম ইমাম হজরত জায়েদ ইবনে আলীর মা সিন্ধি ছিলেন। গবেষকরা তাকে জায়েদা আল সিন্ধি নামে অভিহিত করেছেন। প্রিয়াংকা চৌধুরী সারা রাঠোর লিখেছেন, এসব বর্ণনার ভিত্তিতে শিয়ারা নিজেদের দক্ষিণ এশিয়ায় আগমনকারী প্রথম মুসলমান হিসেবে দাবি করেন।

পরিশেষে কথা বলা যায় যে চাচনামাকে ঘিরে নানা ধরনের বিতর্ক আছে। মুসলমান, হিন্দু ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনায় আলী কুফি রচিত বইটিকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করেছেন। মুসলমানদের মধ্যে আবার সুন্নি শিয়ারাও চাচনামা থেকে নিজেদের স্বপক্ষে দলিল হাজির করেছেন। তবে বিতর্ক যাই থাকুক না কেন কিংবা চাচনামা ইতিহাস বা রোমান্স যেটাই হোক না কেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানদের আগমনের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বইয়ের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি নেই। 

 

নিজাম আশ শামস: লেখক অনুবাদক