আকাশপথে রফতানি
সহজ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালের
কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার
হোসেন। বুধবার (২ অক্টোবর) তার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরের
কার্গো ভিলেজ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালিত কৃষি পণ্যের কোল্ড
স্টোরেজ এবং ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শন করেন।
এ প্রতিনিধি দলে
বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট
ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনের সময় তারা
বলেন, কৃষি পণ্য এবং হিমায়িত মাছ রফতানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিমানবন্দরের
পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় রফতানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান
মো. আনোয়ার হোসেন বিমানবন্দরের চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনের কার্যকারিতা,
কার্গো ভিলেজের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের অপর্যাপ্ত স্থান
সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের
অনুরোধ জানান দ্রুত মেরামত করে ইডিএস মেশিনগুলো
সচল করার জন্য। এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরেও একই ধরনের কার্গো সুবিধা
নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন,
পচনশীল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলোর গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে কুলিং চেম্বার
স্থাপন করা জরুরি। এসব পণ্য ট্রাক থেকে অফলোড করার পর কুলিং চেইনে স্থানান্তরের
পূর্ব পর্যন্ত তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা দরকার।
পরিদর্শন শেষে ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভুঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কার্গো ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে আরো ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।