আগের কোটায় নিয়োগ পেতে এলজিইডিতে পাঁয়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বণিক বার্তা ইলাস্ট্রেশন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) রাজস্ব খাতের আওতায় বিভিন্ন পদে আগের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে অপেক্ষামান তালিকা থেকে নিয়োগ পেতে পাঁয়তারা করছে একটি মহল।

সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ বিদ্যমান ছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে গত ২৩ জুলাই, ২০২৪ তারিখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্তু এলজিইডির বিভিন্ন পদে অপেক্ষমান তালিকা থেকে পূর্ববর্তী কোটায় নিয়োগ পেতে একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের ১৩-২০তম গ্রেডের ১২টি ক্যাটাগরিতে (সাঁট লিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, কমিউনিটি অর্গানাইজার, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, হিসাব সহকারী, সার্ভেয়ার, কার্যসহকারী, ইলেকট্রিশিয়ান, মুয়াজ্জিন, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী) ২ হাজার ২৩৭ পদে গত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি অনুসরণে আবেদনকৃত প্রার্থীদের মধ্য থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের গত ০৫ অক্টোবর চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিলের পরিপত্র মূলে ১৩-২০তম গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগে অপেক্ষমান তালিকা সংরক্ষণের নির্দেশনায় প্রতিটি পদের বিপরীতে ১:২ অনুপাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য হতে অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করে সিলগালাকৃত খামে গোপনীয়তার সাথে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রমতে, নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ চাকরিতে যোগদান না করলে বা চাকুরিতে যোগদানের পর চাকরি থেকে ইস্তফা প্রদান করলে শূন্য পদ পূরণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ডিপিসির সভায় অপেক্ষমাণ তালিকা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রেজাল্ট সিট উপস্থাপনপূর্বক শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী সুপারিশ করতে হবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগের বিদ্যামান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে, এলজিইডির রাজস্ব খাতের ১২ ক্যাটাগরির পদে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে এর আগে নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি অনুসরণে প্রস্তুতকৃত অপেক্ষমান তালিকা থেকে বর্তমানে নিয়োগ করা বিধিসম্মত হবে কিনা অথবা বর্তমানে নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি অনুসরণে অপেক্ষমান তালিকা পুনরায় প্রস্তুত করার প্রয়োজন হবে কিনা, এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট মতামত গ্রহণপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় মনে করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন