বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। তিনি বেশি পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশে আরো উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোরিয়া ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে প্রস্তুত, যেমনটি আমরা এরই মধ্যে আরএমজি সেক্টরে করেছি।’ দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

গতকাল চট্টগ্রামের কাছে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) পরিদর্শনকালে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিসিএবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, ‘আরো বেশি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসাবান্ধব, পূর্বাভাসযোগ্য এবং স্থিতিশীল পরিবেশের উন্নতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজগুলোর মধ্যে শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’ ঢাকায় কোরীয় দূতাবাস বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আরো আলোচনা করতে আগ্রহী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত ২০ বছর বাংলাদেশের ৫ শতাংশ হারে স্থিতিশীল বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার উল্লেখ করে পার্ক দেশটির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের আসন্ন উত্তরণ টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিদেশী পুঁজি আকর্ষণে সহায়তা করবে।’

রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সংক্রান্ত চলমান আলোচনার তাৎপর্যও তুলে ধরেন। এ চুক্তি কোরিয়া বর্তমানে বাংলাদেশকে যে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা প্রদান করছে তা শুধু প্রসারিত করবে না বরং পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াবে বলে উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল, কোরীয় সরকারের কাছ থেকে সফট লোন বা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মেকানিজমের মাধ্যমে অনেক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে।কোরীয় দূতাবাস আশা করে যে চলমান প্রকল্পগুলোর মসৃণ অগ্রগতি হবে এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘উভয় দেশ পাদুকা, হালকা শিল্প, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ নির্মাণ, নীল অর্থনীতি এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, কৃষি ও কৃষি যন্ত্রপাতি, গ্রিন হাউজ এবং কার্বন ট্রেডিং প্রকল্পের মতো নতুন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোরীয় কোম্পানির নতুন প্রযুক্তি রয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারে।’ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করার বিষয়ে আলোকপাত করে কেইপিজেডের সভাপতি জাহাঙ্গীর সাদাত এবং ডিসিএবি সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিবও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন