নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে খামেনিকে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ছবি: রয়টার্স

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে দেশের ভেতরে নিরাপদ এক স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কোনো এক গোপন স্থানে নিরাপদে রাখা হয়েছে তাকে। হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবর জানার পর তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। তেহরানের সর্বশেষ খবর সম্পর্কে অবগত দুজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের হাতে হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হয়েছেন, এমন খবর জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে হিজবুল্লাহ ও ওই অঞ্চলে সক্রিয় অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে ইরান। নিজেদের সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জুলাইয়ে ইরানে এক হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। এরপর গতকাল নিহত হলেন হাসান নাসরুল্লাহ। এর পরই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হলো।

গত শুক্রবার দক্ষিণ বৈরুতে এক বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার দাবি করে ইসরায়েল। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘হাসান নাসরুল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করতে পারবেন না।’

রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার রাতভর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জানা যায়, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে সংগঠনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও অন্য নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এরপর হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়।

হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলি কারকি ও আরো কয়েকজন হিজবুল্লাহ কমান্ডারও বৈরুতের দক্ষিণের দাহিয়েহ এলাকায় শুক্রবারের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই বোমা হামলায় মোট ছয়জন নিহত ও ৯১ জন আহত হয়েছেন। এতে ছয়টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। 

এদিকে হিজবুল্লাহ প্রধানের নিহত হওয়ার খবর এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে ইরান সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠীটিও। রয়টার্সের খবরে বলা হয় যে শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, হিজবুল্লাহর সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ তার শহীদ সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

৬৪ বছর বয়সী হাসান নাসরুল্লাহ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। হিজবুল্লাহকে লেবাননের একটি প্রভাবশালী অবস্থানে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর প্রধান হন নাসরুল্লাহ।

সমর্থকদের মধ্যে এ শিয়া নেতা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ও যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ব্যাপক প্রশংসিত। শত্রুদের কাছে তিনি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের জন্য ইরানের প্রক্সি হিসেবে পরিচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন