‘ভারতের আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি শাহবাজ শরিফের

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল ও ভারতকে নির্দোষ ফিলিস্তিনি ও কাশ্মীরিদের লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেয়া এক ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। 

এ সময় নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে। ভাষণে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেকোনো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।’

১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদের সামনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ২১ মিনিট ভাষণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় গাজা এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুটি।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘শান্তির দিকে অগ্রসর না হয়ে, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে ভারত।’

তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ঘরোয়া রাজনৈতিক বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে তিনি বলেন, ‘এটি শুধুই এক সংঘাত নয়, এটি নির্দোষ মানুষের ওপর এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এটা মানুষের জীবন ও মর্যাদার একেবারে মর্মমূলে আঘাত। গাজার শিশুদের রক্ত কেবল নিপীড়কদের হাতে লেগে নেই। যারা এ নির্মম সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করছে তাদের (হাতেও লেগে আছে)।’

শাহবাজ শরিফ সতর্ক করে বলেন, ‘গাজার শিশুদের রক্ত শুধু দখলদারদের হাতকেই কলঙ্কিত করছে না, বরং যারা এ নিষ্ঠুর সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে তারাও এর দায় এড়াতে পারে না।’

ফিলিস্তিনিদের ‘অন্তহীন ভোগান্তি’ উপেক্ষা করার মধ্য দিয়ে মানবতা সংকুচিত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল সমালোচনা করাটা যথেষ্ট নয়। এখন আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। এ রক্তপাত তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের দাবি জানাতে হবে। মনে রাখতে হবে নিরাপদ ফিলিস্তিনিদের ত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। আমরা তাদের বাস্তুচ্যুতি, সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা তাদের পাশে আছি।’

বেনয়ামিন নেতানিয়াহু যখন তার ভাষণ শুরু করেন, তখন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে শাহবাজ শরিফ তার প্রতিনিধি দল নিয়ে সাধারণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে যান। পরে অন্য মুসলিম নেতারা তাকে অনুসরণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন