শ্বেতি রোগ

প্রচলিত ভুল ধারণা

ফারিন জাহান সিগমা

ছবি : বণিক বার্তা

শ্বেতি রোগ সম্পর্কে সমাজে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে। এ রোগ সম্পর্কে ভুল ও ভ্রান্ত ধারণাগুলো দূর করা জরুরি। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো  শ্বেতি রোগ ছোঁয়াচে। শ্বেতি রোগ ছোঁয়াচে নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় এ রোগ ভালো হয়। শ্বেতি হলে তা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে বিরূপ প্রভাব ফেলে না। করমর্দন, আলিঙ্গন বা অন্য কোনোভাবে এ রোগ সংক্রমিত হয় না।

শ্বেতি রোগের প্রধান সমস্যা সামাজিক। ভুল ধারণা ও অসচেতনতার কারণে শ্বেতি রোগীদের সামাজিক জীবন সীমিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শ্বেতি রোগে আক্রান্ত মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রোগটি সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে এমন হয়। 

অনেকেই আবার মনে করেন, কুষ্ঠ রোগ এবং শ্বেতি রোগে এক। কুষ্ঠ ও শ্বেতি এক বা একই ধরনের রোগ নয়। কুষ্ঠ ছোঁয়াচে, কুষ্ঠ হলে ত্বক মোটা হয়ে যায়, আঙুলে অনুভূতি কমে যায়। তবে শ্বেতি হলে ত্বক পাতলা হয়ে যায়, অনুভূতির কোনো সমস্যা হয় না। 

শ্বেতি রোগের চিকিৎসা নেই বলে ভুল ধারণা রয়েছে। শ্বেতি রোগের চিকিৎসা রয়েছে। ওষুধ ও মলমের দ্বারা, ফটোথেরাপি লেজার চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। শ্বেতি রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা ভালো। তাহলে এ রোগ ছড়িয়ে না পড়ার বা পুরোপুরি ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

দেশে মোট শ্বেতি রোগীর সংখ্যা নিয়ে সঠিক পরসিংখ্যান নেই। তবে দিন দিন এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি বাচ্চাদের মধ্যেও এ রোগ বাড়ছে। 

শ্বেতি রোগ ত্বকের একটি রোগ। ইংরেজিতে একে বলা হয় ভিটিলিগো। আমাদের ত্বকের মধ্যে মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন, যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলে দেখা দেয় এ রোগ। শ্বেতি বা ধবল বংশগত কারণে হতে পারে। তবে তা খুব কম পরিমাণে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন