শ্বেতি রোগ

শ্বেতি রোগে জীবনাচরণ

ফিচার ডেস্ক

ছবি: স্কিরভেল

শ্বেতি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ রোগটিকে ত্বকের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেমকে আরো দুর্বল করে দেয়

মানসিক চাপ নেয়া যাবে না: শ্বেতি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ রোগটিকে ত্বকের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেমকে আরো দুর্বল করে দেয়।

অন্যান্য রোগ আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে: এটি একটি অটোইমিউন রোগ, আর এর সঙ্গে অন্যান্য অটোইমিউন রোগ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পরিপাকতন্ত্রের কিছু সমস্যা, থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনের রোগ, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি। তাই অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যার দিকেও নজর দিতে হবে।

খাবারের দিকে সতর্ক থাকতে হবে: ক্যাফেইন, ডার্ক চকোলেট, গ্লুটেন, দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য, সাদা চিনি, লাল মাংস, সোডা, বার্লি, ভাজাপোড়া না খাওয়া, অ্যালকোহল পরিত্যাগ ইত্যাদি কিছু সাধারণ খাবার শ্বেতি রোগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। কোন কোন খাবারে সমস্যা বাড়ে, তা লক্ষ রাখতে হবে। বাদাম, বীজ, মসলা আখরোট, পেঁপে বেশি করে খাবেন। ভিটামিন বি, সি ও অ্যামাইনো অ্যাসিডসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড পেতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। এছাড়া অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার তালিকায় প্রোবায়োটিকস ও প্রিবায়োটিকস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কপারের ঘাটতি পূরণ: শ্বেতি রোগের আরেকটি কারণ হলো কপারের ঘাটতি। বাদাম, বীজ ও সবুজ সবজি তামাসমৃদ্ধ খাবার। তামার পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি পান করেও উপাদানটির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আয়রন ও দস্তাসমৃদ্ধ খাবারও গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম, বীজ, শাক ও সবুজ সবজি দস্তাসমৃদ্ধ।

শ্বেতি নিয়ে ভালো থাকতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা। যেমন:

• সক্রিয় থাকা

• প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা

• নিয়মিত ব্যায়াম করা 

• পর্যাপ্ত পরিমাণে  ঘুমানো

• সুষম খাবার গ্রহণ করা 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন