লেবাননে একের পর এক ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিস্ফোরণের
ঘটনা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। পরপর দুটি বিস্ফোরণের পর লেবাননের সাধারণ মানুষের
মধ্যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, হামলাগুলো মূলত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, সোলার সেল ও ওয়াকিটকি
রেডিও লক্ষ্য করে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা
হয়েছে, গত মঙ্গলবার লেবাননের কয়েকটি জায়গায় হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে চালানো ডিভাইস
হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও আরো অন্তত দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া গতকাল বুধবার
লেবাননে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত ও ৪৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। হামলায় ইসরায়েল
জড়িত বলে দাবি করছিলেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে লেবাননে ডিভাইস বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, নতুন যুগে পা রাখছে এই যুদ্ধ। এর সঙ্গে নিজেদের
মানিয়ে নিতে হবে।
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণ নিয়ে শুরুতে মন্তব্য
করতে অস্বীকৃতি জানালেও গতকাল উত্তর ইসরায়েলের এক বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় বিষয়টি
উল্লেখ করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, গত মঙ্গলবারের অভিযানটি
ছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ও মোসাদের যৌথ প্রচেষ্টা। দেশটির অভ্যন্তরীণ
নিরাপত্তা সংস্থা শিনবেত ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে নিয়ে আইডিএফের তৎপরতার প্রশংসা
করে তিনি বলেন, আমরা দারুণ সুফল পেয়েছি।
ইসরায়েলের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন
জানিয়েছে, পেজারে বিস্ফোরক থাকার ব্যাপারটি হিজবুল্লাহ জেনে ফেলায় তড়িঘড়ি করে ইসরায়েল
এই হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।