গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

গাজায় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া একটি স্কুল ও একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। গতকাল ভোরে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহতদের আটজন উত্তর গাজার জাবালিয়ায় হালিমা আল-সাদিয়া স্কুলের শরণার্থী তাঁবুতে ছিল। আর পাঁচজন ছিল মধ্য গাজার নুসেইরাত শিবিরে। খবর রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হামাসের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কর্মরত সন্ত্রাসীদের ওপর সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে। 

শুক্রবারও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়। এমন পরিস্থিতিতেও ওই অঞ্চলে শিশুদের পোলিও টিকা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে বিভিন্ন তাঁবুতে ঘুরে ঘুরে শিশুদের টিকার ব্যবস্থা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

পোলিও টিকা কার্যক্রম চালানোর সময় গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি চেয়েছিল জাতিসংঘ। ইসরায়েল এ বিষয়ে রাজি হলেও তারা হামলা অব্যাহত রেখেছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ৪০ হাজার ৮৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৯৪ হাজার ৪৫৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ সময়ে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি।

এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিলাডেলফি করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা অস্বীকার করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ব জেনিনে চার হাজার বাসিন্দাকে বন্দুকের মুখে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো কৌশল ব্যবহার করছে।

৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শিশু অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের কারণে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। 

এ সময় সংস্থাটি অবরুদ্ধ উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের ‘সত্যিকারের’ ঝুঁকি এড়াতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। ইউনিসেফের শিশু পুষ্টি ও উন্নয়নবিষয়ক পরিচালক ভিক্টর আগুয়েও বলেন, ‘আমরা অনুমান করি যে ৫০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তাদের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার প্রয়োজন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন