সরকারের নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি

প্রতিবেদন জমার সময়সীমা বিবেচনা করবে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধ্যবাধকতা পূরণে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে জমা দেয়। দেশব্যাপী সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারির পাশাপাশি নির্বাহী আদেশে চলতি সপ্তাহের রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ অবস্থায় ছুটিকালীন সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাধ্যবাধকতা পূরণে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সেটি বিবেচনা করবে কমিশন। 

তথ্যানুসারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, স্টক ব্রোকারেজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি, ঋণমান কোম্পানি, ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ানসহ বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন নিয়মিত বিএসইসিতে জমা দেয়। কিছু প্রতিবেদন প্রতি মাসেই জমা দিতে হয়, যেমন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ধারণসংক্রান্ত প্রতিবেদন। তাছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগকারীদের কাছে লভ্যাংশ পাঠানোর পর এ বিষয়ে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কমিশনের কাছে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও তথ্য নিয়মিত পাঠাতে হয়। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও প্রতিবেদন তলব করা হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রতিবেদন ও তথ্য জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে সেটিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অমান্য করা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন।

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে এখন পর্যন্ত তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করলে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরো বাড়াতে পারে সরকার। তাছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমেও কোনো তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিশনের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করা হলে সেটি বিবেচনা করা হবে। এর আগেও কভিডকালে প্রতিবেদন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছিল কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধ্যবাধকতা পরিপালনে বিএসইসির কাছে যেসব প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল সেগুলো সাধারণ ছুটির পর জমা দিলেই হবে। এক্ষেত্রে যদি ছুটির মধ্যে নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কমিশনের কাছে আবেদন করা হলে সেটি বিবেচনা করা হবে। এছাড়া কারো যদি অন্য কোনো নির্দেশনার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে কমিশনের কাছে আবেদন করা হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন