শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ব্লক মার্কেটে ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) লোকসান বেড়েছে ২ দশমিক ৪৫ গুণ। আলোচ্য প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা। গত বছর একই প্রান্তিকে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছিল ৯৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৯২ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে ন্যাশনাল ব্যাংকের সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ টাকা ১৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা। 

সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ সুপারিশ করেনি কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় ছিল ১২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকায়। 

৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ন্যাশনাল ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে এনবিএলের সমন্বিত ইপিএস ছিল ১২ পয়সা। আগের বছরে আয় ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৯১ পয়সায়।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ন্যাশনাল ব্যাংক। ২০১৯ হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। 

১৯৮৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩ হাজার ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৯৭২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭০। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ রয়েছে এর উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৩৫ শতাংশ বিদেশী ও বাকি ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৬ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৫ টাকা ৪০ পয়সা ও ৮ টাকা ৪০ পয়সা।