টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প

রাঙ্গামাটির পাঁচ গ্রামে নিরসন হবে সেচ সংকট

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটির লংগদুতে তৈরি করা হয়েছে পানি সংরক্ষণের বিশেষ বাঁধ ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

পাহাড়ি জনপদ রাঙ্গামাটি জেলা কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত হলেও বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে সুপেয় পানি সেচ সংকট। শুষ্ক মৌসুমে প্রান্তিক এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। এছাড়া কৃষিজমিতে সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবে ব্যাহত হয় চাষাবাদ। সংকট নিরসনে সারা দেশের মতো পার্বত্য এলাকায়ওটেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকল্পটির অধীনে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার পাঁচটি গ্রামের কৃষকরা সেচ সুবিধা পাবেন। পাহাড়ি খালে পানি সংরক্ষণ করে বছরজুড়ে চাষাবাদ করা যাবে। পাশাপাশি একফসলি জমি পরিণত হবে তিন ফসলি জমিতে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের অধীনে লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের যুবলক্ষ্মী, রাজনগর, রহমতপুর, শান্তিপুর মোহাম্মদপুর গ্রামের ৪০০ হেক্টর কৃষিজমির ৩১০ হেক্টর সেচ ব্যবস্থাপনার আওতায় এসেছে। ছয় কিলোমিটার খাল পুনর্খনন দুটি পানি সংরক্ষণের বিশেষ বাঁধ নির্মাণের ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি সব সময়ই সংরক্ষিত থাকবে। এতে স্থানীয় কৃষকরা বছরজুড়ে আমন, বোরো রবিশস্য আবাদ করতে পারবেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেয়া প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এলজিইডি রাঙ্গামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কৃষিজমিতে সেচ পানির সংকট নিরসনে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করি। প্রকল্পটির অধীনে দুটি পানি সংরক্ষণের বিশেষ বাঁধ ছয় কিলোমিটার খাল পুনর্খনন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় পাঁচটি গ্রামের কৃষিজমিতে সেচ সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগের ১৯০ হেক্টর জমির সঙ্গে নতুন করে আরো ১২০ হেক্টর চাষাবাদের আওতায় এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন