ফাইবার
গবেষণায় দেখা গেছে যে ফাইবার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে আনে, যা এন্ডোমেট্রিওসিস হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
ফাইবার যে খাবারগুলোয় থাকে সেগুলো হলো
ফল ও শাকসবজি
বাদাম ও বীজ
আস্ত শস্যদানা
ধীরে ধীরে একজন নারীকে ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি পান করা জরুরি। অত্যধিক ফাইবার খাওয়ার ফলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আয়রন
গবেষণায় দেখা গেছে যে আয়রনের মাত্রা কম হলে এন্ডোমেট্রিওসিস হতে পারে। আয়রন হিমোগ্লোবিনের অংশ বা লাল রক্তের প্রোটিন, যা টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ করে। আয়রনের মাত্রা কম থাকলে ক্লান্তি ভর করে এবং মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে
পালংশাক
ড্রাই ফ্রুটস
ডিম
কলিজা
ঝিনুক
হাঁস-মুরগি
স্যামন ও টুনা
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এন্ডোমেট্রিওসিস রোধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ওমেগা-৩ শরীরের প্রতিটি কোষকে ঘিরে থাকা ঝিল্লির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো শরীরকে শক্তি দেয় এবং হার্ট, ফুসফুস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভালোভাবে কাজ করে।
ওমেগা-৩ যেসব খাবারে থাকে
ক্যানোলা ও সয়াবিন তেল
চিয়া বীজ
তেলসমৃদ্ধ মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল, ট্রাউট এবং সার্ডিন
সয়াবিন
আখরোট
প্রোটিন
খাবারের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে প্রোটিন গ্রহণের বৈচিত্র্য আনা গুরুত্বপূর্ণ৷। পোলট্রি, মাছ, সেলফিশ ও ডিম এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি বাড়ায় না।
এড়িয়ে চলা লাগবে যা
কিছু খাবার এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বা কারো যদি এটি থাকে তবে লক্ষণগুলো আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলা বা সীমিত করার মাধ্যমে এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি বা ব্যথা আরো কমতে পারে।
উচ্চ ফোডম্যাপযুক্ত খাবার
কিছু লোক যখন উচ্চ ফোডম্যাপ খাবার খায়, যেমন
আপেল
অ্যাসপারাগাস
দুগ্ধজাত খাবার ও দই
পেঁয়াজ
নাশপাতি
গম
এ ধরনের খাবার এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
গ্লুটেন
গ্লুটেন এন্ডোমেট্রিওসিস ব্যথাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। গ্লুটেনমুক্ত ডায়েট এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণগুলো কমাতে পারে।
ট্রান্স ফ্যাট
ট্রান্স ফ্যাট বেশি গ্রহণ করলে এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি বেশি থাকে।