![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_388231_1.jpg?t=1719692020)
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি গাড়ি বিক্রি করেছেন চীনা অটো নির্মাতারা। বিশ্বব্যাপী গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান অনুসরণ করে এ তথ্য দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেএটিও ডাইনামিকস। খবর আরটি।
প্রতিবেদন বলছে, চীনা ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে নেতৃত্বে ছিল শেনজেনভিত্তিক বিওয়াইডি। গত বছর চীনের কোম্পানিগুলো ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার নতুন গাড়ি বিক্রি করেছে। অন্যদিকে মার্কিন ব্র্যান্ডগুলো বিক্রি করেছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ইউনিট। অবশ্য শীর্ষ অবস্থানে ছিল জাপান। দেশটির অটো নির্মাতারা বিক্রি করেছেন ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার গাড়ি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চীনা কোম্পানিগুলো এ সময় গাড়ি বিক্রিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় বাড়তি প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে। এ হার ২৩ শতাংশ। একই সময় মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিক্রি বেড়েছে ৯ শতাংশ।
জেএটিওর জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ফেলিপ মুনোজ জানান, মার্কিন গাড়ির মূল্য ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এ কারণে ভোক্তারা আরো সাশ্রয়ী চীনা গাড়ির দিকে আকৃষ্ট হয়েছেন। চীনা ব্র্যান্ডগুলো মূল্য বাড়ার এ প্রবণতাকে পুঁজি করে বাজারে দ্রুত লাভ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরেশিয়া ও আফ্রিকার মতো অঞ্চলজুড়ে চীনা ব্র্যান্ডের বাজার হিস্যা বেড়েছে। ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইসরায়েলসহ উন্নত অর্থনীতিতেও ভালো অবস্থানে ছিল।
কভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ধীর প্রবৃদ্ধি দেখে আসছে চীন। দেশটিতে ভোক্তা চাহিদার পতনের কারণে জোর দেয়া হয়েছে বিদেশের বাজারের দিকে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সহজ প্রবেশাধিকার নীতি, নিম্ন বাণিজ্য বাধা ও ভোক্তাদের মধ্যে উচ্চ মূল্য সংবেদনশীলতার কারণে চীনা ব্র্যান্ডগুলো এরই মধ্যে উদীয়মান অর্থনীতিতে সফল হয়েছে।
২০২৩ সালে উদীয়মান অর্থনীতিতে ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি নতুন গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে মোট বিক্রির চেয়ে বেশি।
এদিকে সম্প্রতি চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) ওপর ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর আগে দেশটির ইভিতে চার গুণ শুল্ক বাড়িয়ে শতভাগ করে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া চীন থেকে আমদানীকৃত যানবাহনের ওপর ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেছে তুরস্ক।