ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ঋণমান ট্রিপল এ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসির সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে। 

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের সুদ আয় হয়েছে ১৬৯ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৩৪ কোটি টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৭ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। 

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ১১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।

 গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সায়। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। 

সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য ডিবিএইচ মোট ১৭ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৫ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৩৫ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৭ টাকা ১৫ পয়সা। 

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ডিবিএইচ। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৭ টাকা ১৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ২৮ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ডিবিএইচ। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য মোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও বাকি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে আসা ডিবিএইচের অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৯৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬৬৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ১৭১। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক শূন্য ৪, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৪৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ডিবিএইচের শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩১ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩১ টাকা থেকে ৫৬ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৬ দশমিক ৩, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৮ দশমিক ৯৭।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন