![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_385250_1.jpg?t=1718633946)
বিশ্ববাজারে সংকুচিত সরবরাহের মধ্যে চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশায় দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে তামার দাম। তবে চীনের আবাসন খাতে অস্থিরতা ও ধাতুটির ক্রমবর্ধমান মজুদের কারণে আগামী দিনগুলোয় এ প্রবণতায় ভাটা পড়তে পারে। অব্যাহতভাবে কমতে পারে দাম। এমনটাই জানিয়েছেন ধাতব পণ্যের বাজার বিশ্লেষকরা। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নিয়ে এসে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। আর এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ তামা। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতেও তামার ব্যবহার ব্যাপক। এ খাতে ধাতুটির ঊর্ধ্বমুখী ব্যবহারের ফলে দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। এছাড়া অবকাঠামো খাতে চাহিদা বৃদ্ধিও মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
তবে সম্প্রতি দাম বাড়ার এ ধারায় ভাটা পড়েছে। সবশেষ গত শুক্রবারও লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তামার দাম একদিনের ব্যবধানে দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৩১ ডলার ৫০ সেন্টে।
বাজার বিশ্লেষকরা জানান, চীন বিশ্বের শীর্ষ তামা উৎপাদক ও ব্যবহারকারী। দেশটির আবাসন খাতে লম্বা সময় ধরে চলা অস্থিরতা তামার বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সেখানকার অবকাঠামো খাতে চাহিদা কমে যাওয়ায় তামার দামও নিম্নমুখী হয়ে উঠছে।
চিলিয়ান কপার কমিশন জানায়, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চাহিদার তুলনায় তামার সরবরাহ ঘাটতি ৩ লাখ ৬৪ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে। এদিকে বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি বছর তামার মূল্যবৃদ্ধির গতি অনেকটাই ধীর হয়ে আসবে। আর আগামী বছর তা স্থির থাকবে। এর পেছনে বড় ভূমিকা পালন করবে চীনের আবাসন খাত।