পিপিপিএর অধীনে এক যুগে ৮০ প্রকল্প

বিনিয়োগ ৪২.৩৬ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এসে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য দেশে ২০০৯ সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি মডেল চালু হয়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। সরকারি এ সংস্থার অধীনে ২০১২ সালে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর গত এক যুগে মোট ৮০টি প্রকল্প হাতে নেয় পিপিপিএ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ ধরা হয়েছে প্রায় ৪২ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।

গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘পিপিপি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শিরোনামে‌ আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব বিষয় জানান পিপিপিএর মহাপরিচালক মো. আবুল বাশার।

তিনি বলেন, ‘পিপিপিএ ১৮টি মন্ত্রণালয়ের ২৭টি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ৮০টি প্রকল্পের অনেকগুলো সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান। পিপিপির সুবিধা হলো এটি ভ্যালু ফর মানি (অর্থের মূল্য) যোগ করে। প্রতিটি পিপিপির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে গিয়ে আমরা কমপক্ষে তিন-চারটি বিকল্প বিশ্লেষণ করি। এরপর সরকারের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্পটিই আমরা গ্রহণ করি।’

আবুল বাশার আরো বলেন, ‘পিপিপি সম্পর্কে মানুষের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। তারা মনে করে পিপিপি সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন, এর অধীনে বেসরকারি খাতে জমি বিক্রয় করা হয়, স্বাভাবিক প্রকিউরমেন্ট থেকে পিপিপি প্রকিউরমেন্ট অনেক বেশি সময় নেয় ইত্যাদি। বস্তুত এটি সরকারের অধীনেই বিকল্প অর্থনৈতিক পদ্ধতি। 

অংশীদার হিসেবে সরকারের ভূমিকা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। আর নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের পিপিপি অ্যাক্ট, পিপিপি রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন ইত্যাদি রয়েছে। বেসরকারি খাত সরকারের অংশীদার হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মাত্র।’

কর্মশালায় আরো প্রশিক্ষণ দেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ মার্ক গিবলেট, বহুজাতিক পেশাদার পরিষেবা নেটওয়ার্ক সেবা সংস্থা কেপিএমজির সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাডভাইজার ডেভিড এনজি ও সহযোগী পরিচালক রিশাভ জেইন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন