ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ

বাবার পর এবার মাকেও হারাল শিশু ইয়াসিন শেখ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ছবি: বণিক বার্তা

ফরিদপুরের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মা দুজনকেই হারাল ১৮ মাস বয়সী শিশু ইয়াসিন শেখ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মা পপি বেগম (২৫) মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান বাবা ইকবাল শেখ। তাদের বাড়ি আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের হিদাডাঙ্গায়।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই পিকআপে শিশুটিও ছিল, বাবা মা দুজনেই এ দুর্ঘটনায় মারা গেলেও সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে শিশুটি বেঁচে যায়। ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসা দেবার পর শিশুটি সুস্থ হয়।

শিশুটির স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, তিন বছর আগে পপি ও ইকবালের বিয়ে হয়। ইয়াসিন শেখ তাদের একমাত্র সন্তান।

আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ রোমান আলী জানান, এ মুহূর্তে শিশুটি বয়োবৃদ্ধ নানা-নানীর দায়িত্বে রয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় সাতক্ষীরাগামী ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের দিকে ছেড়ে আসা পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপে থাকা ১৯ জনের মধ্যে ১১জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরো চারজনের মৃত্যু হয়। নিহত ১৫ জনের মধ্যে আটজন নারী, চারজন পুরুষ ও তিনজন শিশু রয়েছে।

এদিকে ফরিদপুরের এ সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য প্রত্যেককে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি নিহত সদস্যের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা আর আহতদের তিন লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহ্সান তালুকদার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন