বিরোধিতা করলেও বিএনপির অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে: কাদের

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করল। আমাদের জানামতে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংখ্যা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কতজন প্রার্থী, আমরা সেটা হিসাব করে দেখার তাগিদ অনুভব করিনি। আমরা সবাইকে সুযোগ দিয়েছি।

উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট নিয়ে তিনি বলেন, ৮ মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, এজন্য প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানামতে তাদের অনেকেই অংশ নেবে।

জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াতের আহ্বান নিয়ে আমরা কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি না।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সারা বিশ্বই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব ছিল সেটা আবারো নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল, আজ সে একইরূপে আবির্ভূত হয়েছে গাজায় গণহত্যার নায়ক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এ নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কথা শোনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। এরই মধ্যে গাজায় ১৪ হাজার শিশুকে হত্যা করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ইরানের আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নেতানিয়াহু আবারো ইরানে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। এটি পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন