‘দুদকে খালি হচ্ছে তিন মহাপরিচালকের পদ’ শিরোনামে বণিক বার্তায় গত
১৯ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপর গত ১৮ মার্চ মহাপরিচালক (ডিজি) জাকির
হোসেনকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার পদে বদলি করা হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) মহাপরিচালক রেজানুর রহমানকে বিদ্যুৎ বিভাগে অতিরিক্ত
সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। আর সৈয়দ ইকবাল হোসেন আগামী ৩০ এপ্রিল অবসরে যাবেন।
গত ২৭ মার্চ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোতাহার হোসেনকে
দুদকে ডিজি পদে বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি ঈদের পর যোগ দেবেন বলে বণিক
বার্তাকে জানিয়েছেন। আর (তদন্ত-২) এর মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেন দুদক থেকে রোববার
(৩১ মার্চ) রিলিজ নিয়েছেন। তিনি আগামীকাল (২ এপ্রিল) মঙ্গলবার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন
বলে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন। সে হিসেবে তার দফতরটি আপাতত খালি থাকছে। তিনি দুদকের
আলোচিত ‘যাচাই-বাছাই কমিটির’ও মহাপরিচালক ছিলেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের
যুগ্ম সচিব মো. জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পরিচালক (যুগ্ম সচিব)
মো. রেজানুর রহমান দুদকের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। মো. জাকির হোসেন মহাপরিচালক
(তদন্ত-২) ও মো. রেজানুর রহমান মহাপরিচালকের (তদন্ত-১) দায়িত্ব পান। তাদের দুজনেরই
দুদকে চার বছরের বেশি সময় পার হয়। তারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিও পেয়েছেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে, দুদকের নিজস্ব জনবল থেকে পদোন্নতি
পাওয়া পরিচালকরা মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য যোগ্য হওয়ার পরও তাদের পদোন্নতি
না দিয়ে বাইরে থেকে প্রেষণে জনবল আনা হচ্ছে। এতে নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাঝে অসন্তোষ
বিরাজ করছে।
দুদক চাকরি বিধিমালা-২০০৮-এ প্রেষণে নিয়োগ বিষয়ে বলা হয়েছে, (১)
তফসিলের বিধান সাপেক্ষে কোনো পদে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশন সরকার, ব্যাংক বা
বিধিবদ্ধ সংস্থা কিংবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত কর্মচারীকে শর্তাধীনে নিয়োগ করতে
পারবে। (২) প্রেষণে নিয়োগের শর্তাবলিতে থাকবে (ক) প্রেষণের সময় ব্যতিক্রম ছাড়া তিন
বছরের বেশি হবে না ও (খ) মাতৃসংস্থার চাকরিতে কর্মকর্তার পূর্বস্বত্ব থাকবে এবং প্রেষণের
সময় শেষ হওয়ার পর অথবা এর আগে অবসান ঘটলে তিনি মাতৃসংস্থার চাকরিতে ফিরে যাবেন।