ছবি : বিজ্ঞপ্তি থেকে সুলভ মূল্যের বাজার প্রতিষ্ঠার কারণে ১৫ রোজার পরই জিনিসপত্রের দাম কমে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি ঢাকা আর ঢাকার বাইরে ভিন্ন। ঢাকার বাইরের কম দামের পণ্য ঢাকায় বেশি দামে বিক্রি হয়। ভোক্তা যাদের কাছ থেকে পণ্য কেনেন, তাদের কাছে এসে দাম বাড়ে।’
গতকাল ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা, ভোক্তা যাদের থেকে পণ্য কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজটা সরকার করবে, সেটা সরকারের দায়িত্ব। আমরা যারা সরকারে আছি সেটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভ মূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম।
ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল, মফস্বলের মানুষ সেই পরিস্থিতির মুখে ছিল না বলেও জানান নানক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলের আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে, ভোক্তার কাছে এসে তা ৫০-৬০ গুণ বেড়ে যায়। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’
অন্য এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে আজ আমারও ভালো লাগেনি। অনেক ভিড়ের সচিবালয়ে আজ ভিড় কম। ঢাকার রাস্তা অস্বাভাবিক। আসলে আমার জানামতে দুই পর্ব মিলে এত ছুটি হয়নি। এখন স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষ বাড়িতে যায়। সব যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমার কাছে মনে হয়, এ সপ্তাহ এমন ঢিলেঢালা যাবে। আগামী সপ্তাহে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে।’
