পরিবেশবান্ধব গাড়ি

সৌদি রেড সি গ্লোবালের সঙ্গে চুক্তিতে হুন্দাই

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: রয়টার্স

পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরিতে সৌদি আরবের রেড সি গ্লোবালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই মোটর গ্রুপ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পশ্চিম উপকূলের বিলাসবহুল ও প্রকৃতিবান্ধব পর্যটন স্থাপনার জন্য যানবাহন তৈরির লক্ষ্যে সংস্থা দুটি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। খবর কোরিয়ান হেরাল্ড।

কোরিয়ান এ অটোমেকার ও সৌদি আরবের মেগাপ্রজেক্টের প্রতিনিধিরা রিয়াদে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

রেড সি গ্লোবাল সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। দেশটির পর্যটন খাতে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রেড সি গ্লোবাল।

চুক্তি অনুসারে, সৌদি আরব জুড়ে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের প্রসারে অবদান রাখবে হুন্দাই। শুরুতে উমাহাত দ্বীপের রিসোর্ট ও আমালার অতিবিলাসী পর্যটন গন্তব্যে বৈদ্যুতিক যান (ইভি) ও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল গাড়ির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

অটোমেকার জায়ান্টটি আরো জানায়, মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। লোহিত সাগর তীরবর্তী প্রকল্পভুক্ত এলাকায় চালকবিহীন গাড়ির মতো উন্নত ও গতিশীল যান চালুর চেষ্টাও করবে তারা।

হুন্দাই মোটর গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ডং-কুন জানান, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপে যুক্ত হবে কোম্পানিটি। হুন্দাই মোটর গ্রুপ বৈশ্বিক জ্বালানি খাতের গতিপথ পরিবর্তনে অবদান অব্যাহত রাখবে।

হুন্দাই ২০২৩ সালের অক্টোবরে কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটিতে যৌথভাবে কারখানা তৈরির জন্য পিআইএফের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এরই মধ্যে কারখানাটিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলো পাঠানো শুরু হয়েছে। প্ল্যান্টটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ হাজার গাড়ি।

রেড সি গ্লোবাল সৌদি-সমর্থিত ভিশন ২০৩০ এর অধীনে পাঁচটি মেগাপ্রকল্পের মধ্যে একটি। যার মূল লক্ষ্য হলো, জ্বালানি তেল-নির্ভর অর্থনীতির বদলে বৈচিত্র্যকরণ নীতিকে এগিয়ে নেয়া। এর আওতায় শহর উন্নয়ন প্রকল্প নিওম, বিনোদন কমপ্লেক্স কিদ্দিয়া, হাউজিং ডেভেলপমেন্ট রোশন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা উন্নয়ন দিরিয়াহসহ দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে।

চুক্তির বিষয়ে রেড সি গ্লোবালের সিইও জন প্যাগানো বলেন, ‘টেকসই ও বিশ্বমানের বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাণে হুন্দাই মোটর গ্রুপ শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। হুন্দাইয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পরিবেশ-বান্ধব যানে আমরা পরিবেশগত প্রত্যাশা পূরণ করছি ও শূন্য কার্বন নীতির এক ধাপ কাছাকাছি চলে এসেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন