ফের বেতার ধারাবাহিকে আসাদুজ্জামান নূর

ফিচার প্রতিবেদক

শতাব্দী ওয়াদুদ, আজাদ আবুল কালাম ও আসাদুজ্জামান নূর ছবি: সৈয়দা ফরিদা ফেরদৌসী

বিনোদন অঙ্গনের গুণী অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। বাংলাদেশের মঞ্চনাটক, সিনেমা ও টিভি নাটকের একজন অনবদ্য অভিনেতা তিনি। আসাদুজ্জামান নূর স্বাধীন বাংলা বেতারেরও একজন শিল্পী। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও এখন পর্দায় অনিয়মিত তিনি। তবে পছন্দের গল্প পেলে দেখা মেলে তার। সম্প্রতি বাংলাদেশ বেতারের একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। ছয় পর্বের ধারাবাহিক নাটকের নাম ‘জীবন জয়ের গল্প’। এটি রচনা করেছেন তারিক মনজুর।

সম্প্রতি নাটকটির রেকর্ডিং শেষ করতে বাংলাদেশ বেতারে হাজির হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। নাটকে তিনি একটি পত্রিকার সম্পাদকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এ নাটকের চমক আরো দুজন গুণী অভিনেতা। শতাব্দী ওয়াদুদ ও আজাদ আবুল কালামও আছেন বাংলাদেশ বেতারের নাটকটিতে। 

গ্রামের চেয়ারম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। কৃষকের চরিত্রে আছেন আজাদ আবুল কালাম আর সাংবাদিক চরিত্রে তানিয়া আহমেদ। দীর্ঘদিন পর বেতারের ধারাবাহিকে কাজের অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘নাটকের ভালোমন্দ শ্রোতারা বিচার করবেন। অনেকদিন পর বেতার নাটক করছি, প্রিয় মানুষের সঙ্গে কাজ করছি, সেটাতেই আনন্দ।’

তারিক মনজুর নাটকের গল্প নিয়ে জানান, গ্রামের চেয়ারম্যানের জমিতে চাষ করতে গিয়ে একটি পিতলের কলসী পান কৃষক। গ্রামে খবর রটে যায় যে এ কলসীতে মোহর আছে। তারই খবর জানতে পত্রিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর সাংবাদিক তানিয়াকে অ্যাসাইনমেন্ট দেন। পরবর্তী সময়ে জানা গেল যে কলসীতে মোহর নেই, আছে শুধু মাটি। লোভ না করার বার্তা দেয়া হয়েছে এ নাটকে।

বাংলাদেশ বেতারের জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেলের জন্য রচিত ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন সৈয়দা ফরিদা ফেরদৌসী। প্রযোজক বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় নূর ভাই সেদিন আমাদের দুপুরে ১ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। আমরা নূর ভাইকে কেন্দ্র করে যে কাজটুকু ছিল তা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করেছি। কারণ তিনি ভীষণ ব্যস্ত মানুষ। তিনি যে তার ব্যস্ত সময় থেকে আমাদের সময় দিয়েছেন, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অন্য যারা অভিনয় করেছেন, প্রত্যেকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। যতদিন আসাদুজ্জামান নূর সময় দেবেন, ততদিন এ নাটক প্রচার হবে।’\এর আগেও তাকে নিয়ে তিন পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রচার হয়েছে বলে জানান প্রযোজক।

আসাদুজ্জামান নূর ১৯৭২ সালে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের হয়ে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন ‘তৈল সংকট’ নাটকের মধ্য দিয়ে। এরপর বহু মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন। তবে মঞ্চে নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন মাত্র দুটি। একটি ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ ও অন্যটি ‘মোহনগরী’। একাধিক জনপ্রিয় টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। নূর অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’। বড় পর্দায় অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘দহন’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ইত্যাদি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত সিনেমা ‘চাঁদের অমাবস্যা’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘চাঁদের অমাবস্যা’ উপন্যাস নিয়ে একই নামে তৈরি হয়েছে সিনেমা। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি বানিয়েছেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন। এর কাহিনীবিন্যাস ও চিত্রনাট্যও করেছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন