আজ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে ২২ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থতা, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ ও পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেছে এমন ২২ কোম্পানি আজ থেকে ‘‌জেড’ ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে। এ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ১৫ ফেব্রুয়ারি জারি করা আদেশ কার্যকরের অংশ হিসেবে এ কোম্পানিগুলোর ক্যাটাগরি পরিবর্তন করছে স্টক এক্সচেঞ্জ। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যে ২২ কোম্পানি আজ থেকে জেড ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, ডেল্টা স্পিনার্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কেয়া কসমেটিকস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি (বিডি), রিং শাইন টেক্সটাইলস, সাফকো স্পিনিং মিলস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইয়াকিন পলিমার ও জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বন্ধ, যেগুলোর অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই এ ধরনের কোম্পানিগুলোকে ‌জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হচ্ছে। এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কেউ যাতে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য আমরা এ ব্যবস্থা নিচ্ছি। অন্যদিকে যে কোম্পানিগুলোর অবস্থা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোকে আমরা সাময়িক সুযোগ দিচ্ছি, যাতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। মূলত বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্যই এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে।’

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির নতুন আদেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্তারোপ করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি শর্ত পরিপালনে ব্যর্থতার কারণে এই ২২ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হচ্ছে। শর্ত তিনটি হচ্ছে আইন অনুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রেও জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে। তবে কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া কিংবা দৈব দুর্ঘটনার কারণে এজিএম আয়োজন করতে না পারলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

কোনো কোম্পানির উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ন্যূনতম ছয় মাসের জন্য বন্ধ থাকলে সেক্ষেত্রে সেই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। তবে যদি পুনঃসংস্কার কিংবা বিএমআরই (ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ) কিংবা দৈব দুর্ঘটনাজনিত কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকলে সেক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।

পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ বেশি হলে সেক্ষেত্রে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। তবে যেসব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে পুঞ্জীভূত লোকসান বেশি থাকা সত্ত্বেও সর্বশেষ পঞ্জিকা বর্ষে তার চলতি মুনাফা থেকে অন্তর্বর্তীকালীনসহ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এবং নিয়মিত এজিএম আয়োজন করেছে সেক্ষেত্রে সেই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে না।

শেয়ার ক্লিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সেটলমেন্ট অব ট্রানজেকশনস বিধিমালার ৫(২) বিধির ওপর বিএসইসির এ নির্দেশনা প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে জেড ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানির শেয়ার ক্লিয়ারিং হবে যেদিন লেনদেন হবে তার তিনদিন পরে (টি+৩)। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সেটলমেন্ট অব ট্রানজেকশনস বিধিমালায় জেড ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানির শেয়ার ক্লিয়ারিংয়ের সময় নির্ধারিত ছিল টি+৯।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন