অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে
আজ শনিবার সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৫৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। এরপর
৩৮.১ ওভারের মধ্যে ১৫৬ রানের টার্গেট ছুঁয়ে ফেলতে পারলেই চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে
উঠে যেত বাংলাদেশের যুবারা। যদি মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল ৩৫.৫ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট
হলে তাদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ হয়।
এর মধ্য দিয়ে সেমিফাইনালের
লাইনআপ চূড়ান্ত হলো। আগেই সেমিতে উঠে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার তাদের
সঙ্গে যোগ দিল পাকিস্তান। ৬ ফেব্রুয়ারি বেনোনিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
অথচ তীরে গিয়ে তরি না ডুবলে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ হতে পারতো বাংলাদেশও।
বোলাররা ভিত গড়ে দিলেও
ব্যাটাররা পারেননি বাংলাদেশকে জেতাতে। পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ (৪/২৪) এবং স্পিনার
শেখ জীবন (৪/২৪) ও মাহফুজুর রহমান রাব্বীর (১/২৭) অনবদ্য বোলিংয়ে পাকিস্তান ১৫৫ রানে
গুটিয়ে যায়। পাকিস্তানের পক্ষে আরফাত মিনহাস সর্বোচ্চ ৩৪ ও শাহজাইব খান ২৬ রান করেন।
১৬ দলের টুর্নামেন্টে
চার গ্রুপের প্রতিটি থেকে তিনটি করে দল সুপার সিক্সে খেলেছে। এই সুপার সিক্স পর্বে
১২টি দল ২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই দুই গ্রুপের প্রতিটি থেকে শীর্ষ
দুই দল সেমিফাইনালে উঠল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে
আজ পাকিস্তানের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ। তারা জিতলেই সেমিফাইনালে। আর বাংলাদেশ জিতলেই
হতো না। এর সঙ্গে মিলাতে হতো কিছু সমীকরণ। বাংলাদেশের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি ছিল পাকিস্তানের।
তাদের রানরেটও বেশি। পাকিস্তানের রানরেট ১.০৬৪, বাংলাদেশের ০.৩৪৮।
বাংলাদেশের যুবারা এখন
৩৮.১ ওভার কিংবা এর আগে যদি ১৫৬ রানের টার্গেট ছুঁয়ে ফেললে তবেই নিট রানরেটে পাকিস্তানকে
টপকে যেত এবং পেতো শেষ চারের টিকিট। কিন্তু রাব্বীর দল পারল না।
হারলেও আজ বাংলাদেশের
বোলিংয়ে মুগ্ধ ক্যারিবিয়ান গ্রেট ইয়ান বিশপ বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দেখার
পর বলতে পারি, তাদের ফাস্ট বোলাররা যেভাবে উন্নতি করেছে তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারি না।
মাঠে তারা অনেক উদ্দীপ্ত আর দক্ষও। তারা কোনো সময়ই পিছপা হয় না।’