বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী

আমার নজর কেড়েছিল ইউআইইউ ক্যাম্পাস

তাশি শেরিং, ভুটান

শিক্ষার্থী, বিবিএ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশে এসেছি মাত্র সাড়ে তিন মাস হয়েছে। আমি এখানে আসার আগে, আমার বন্ধুরা এবং আমার পরিবার আমাকে সতর্ক করেছে যে বাংলাদেশ একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ, যেখানে সব ধরনের অপরাধই ঘটে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসার পর থেকে আমি কখনো এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হইনি। আমি বলতে পারি যে বাংলাদেশের লোকেরা বিদেশীদের প্রতি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। আমার বাবা-মা চেয়েছিলেন আমি যেন আমার দেশে ভুটানে পড়াশোনা করি। তবে আমার ভাই বিদেশে পড়ার জন্য উৎসাহ দিতেন। এবং স্কালারশিপের জন্য ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করি। সেই সময়েই আমি জানতে পারি যে আমি ইউআইইউতে শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ স্কলারশিপে পড়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছি। প্রথমে আমি সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। কী করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার জন্য দারুণ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সত্যিই আমার নজর কেড়েছিল, যা ইউআইইউতে পড়াশোনা করার জন্য আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বিশেষত্ব ফ্যাকাল্টি সদস্যরা। আমি যখন প্রথম এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি, শিক্ষকদের খুব বন্ধুত্বপরায়ণ হিসেবেই পাই। যেকোনো ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পড়াশোনার পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলতে পারি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ যেকোনো শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলবে।

যদিও আমি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তবে আমার সহপাঠী ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশ ও ভুটানের শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু পার্থক্য দেখতে পেয়েছি। আমি জানতে পেরেছি যে বাংলাদেশে দুই ধরনের ভাষা ইংরেজি মাধ্যম এবং বাংলা মাধ্যম রয়েছে, যা আমার দেশে প্রচলিত নয়। কারণ প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে ইংরেজি বিষয় শেখা বাধ্যতামূলক। প্রধান পার্থক্য হলো ভুটান গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস (জিএনএস) নীতির ওপর জোর দিয়ে একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করে। যা বাংলাদেশের থেকে ভিন্ন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন